পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কোরআনের বর্ণনায় মৃত্যুযন্ত্রণা।

ছবি
—কোরআনের বর্ণনায় মৃত্যুযন্ত্রণা। ° পার্থিব জীবনের সমাপ্তি টেনে সবাইকে পরকালীন জীবনের পথে পা বাড়াতে হবে। পার্থিব ও পরকালীন জীবনের মেলবিন্দুর নাম মৃত্যু। মৃত্যু যেমন অনিবার্য, মৃত্যুর যন্ত্রণাও অবধারিত। যদিও বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীর মৃত্যু যন্ত্রণা সমান হবে না। অবধারিত মৃত্যুযন্ত্রণার প্রতি ইঙ্গিত করে ইরশাদ হয়েছে, ‘জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে।’  ____________(সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৮৫) ° রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। নিশ্চয়ই মৃত্যুর যন্ত্রণা অনেক কঠিন। ______________’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৫১০)  ° কোরআনের বর্ণনায় মৃত্যুযন্ত্রণা পবিত্র কোরআনের চারটি আয়াতে স্পষ্টভাবে মৃত্যুযন্ত্রণার কথা বলা হয়েছে। তা হলো— ° ১. মৃত্যুযন্ত্রণা অনিবার্য : আল্লাহ বলেন, ‘মৃত্যুযন্ত্রণা সত্যই আসবে। এটা হতে তোমরা অব্যাহতি চেয়ে এসেছ।’ ____________ (সুরা কাফ, আয়াত : ১৯) ° ২. অবিশ্বাসীদের জন্য ভয়ংকর মৃত্যুযন্ত্রণা : আল্লাহ বলেন, ‘যদি তুমি দেখতে পেতে যখন অবিচারকারীরা মৃত্যুযন্ত্রণায় থাকবে এবং ফেরেশতারা হাত বাড়িয়ে বলবে, তোমাদের প্রাণ বের করো। তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে অন্যায় বলতে ও...

ভেঙে যাওয়া মানেই জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয় ভেঙে যাওয়া মানেই আরেকটা সুযোগ

ছবি
ভেঙে যাওয়া মানেই জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয় ভেঙে যাওয়া মানেই আরেকটা সুযোগ  রবকে চেনার  ও চারপাশের মানুষদের চেনার---- যারা আপনাকে ভেঙে দিয়েছে  তাদের জন্য কেন ভেঙে পরে থাকবেন... যিনি আপনাকে ভালোবাসেন কখনো ছেড়ে যান না  সেই রবের জন্য সামনে এগিয়ে যান-- চলার পথে যদি হোটচ খেয়ে পরে যান  তাহলে কোনো দ্বিধা না করে সাথে সাথেই উঠে দাঁড়াবেন  এবং নতুন পথে চলতে শুরু করবেন  শুধু এই আশায় যে-- আপনার রব আপনার পাশে আছেন,  আপনি যদি আপনার রবকে স্মরণ করেন তাহলে তিনিও আপনাকে স্মরণ করবেন...  তাই কোনো সংকোচ ছাড়াই আল্লাহর উপর  তাওয়াক্কুল করে সামনে এগিয়ে যাওয়া  এবং নতুন দিশা খোঁজা ই আপনার জন্য  কল্যাণকর.........★ ভাঙা হৃদয়কে জোড়া লাগানোর জন্য  আল্লাহই যথেষ্ট  বিকল্প কোনো জিনিস সেখানে গ্রহনযোগ্যতা  পায়না যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে আল্লাহ  তার জন্য যথেষ্ট  (সূরাঃ ত্বালাক- ০৩)                                   ~ফাহিমা~

শিক্ষামূলক_গল্প

ছবি
 #শিক্ষামূলক_গল্প: একজন বৃদ্ধা মহিলা প্রতিদিন এক মসজিদের সামনে ভিক্ষা করতো.... একদিন নামায শেষে মসজিদের ইমাম সাহেব বাইরে এসে তাকে জিজ্ঞেস করলেন,, “আপনি কেনো ভিক্ষা করেন?আপনি তো সচ্ছল পরিবারের মহিলা,,আপনার ছেলেও তো অনেক ভালো আয় করে।” মহিলা বলল,,"আপনি তো জানেন আমার স্বামী একবছর হলো মারা গেছেন,আর আমার একটাই ছেলে,,সে ৮ মাস যাবত বিদেশে...সে আমাকে টাকা দিচ্ছিল,,এরপর টাকা শেষ হয়ে গেছে...এখন আমার ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।" ইমাম বলেন," কেন? সে কি আপনাকে আর টাকা পাঠায় না? বৃদ্ধা বললেন," না, কিন্তু সে আমাকে প্রতিমাসে একটা করে ছোট রঙিন ছবি পাঠায়...যেগুলো আমি আদর করে চুমু দিয়ে ওর স্মৃতি হিসেবে দেয়ালে লাগিয়ে রেখে দেই।" ইমাম সাহেবের কাছে ব্যাপারটা অদ্ভূত লাগলো,, কী এমন ছবি!কেনো টাকা পাঠানো বাদ দিয়ে ছবি পাঠাচ্ছে? ইমাম সাহেব সিদ্ধান্ত নিলেন যে বৃদ্ধার বাসায় যাবেন। একদিন বৃদ্ধার বাড়ি গিয়ে ঘরের দেয়ালে তাকিয়ে তো ইমাম সাহেব অবাক... তিনি দেখলেন দেয়ালে লাগানো সেই রঙিন ছবিগুলো ছিল আসলে ডলারের চেক, যার প্রতিটা ছিল ১ হাজার ডলারের। কিন্তু মহিলা অশিক্ষিত হওয়ায় বুঝতে পারেনি সেগুল...

যেসব ইবাদত অন্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

ছবি
 —যেসব ইবাদত অন্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ° মহান আল্লাহ মানুষকে তাঁর ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর জিন ও মানুষকে শুধু আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।’  _____________(সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ৫৬) ° ইবাদতের মধ্যে কিছু আছে শারীরিক ইবাদত, যেমন—নামাজ ও রোজা। কিছু আছে আর্থিক ইবাদত, যেমন—হজ, জাকাত, কোরবানি ইত্যাদি। আবার কিছু ইবাদত এমন, যেগুলো অন্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কারণ মন আমাদের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নিয়ন্ত্রক। যখন মন ঠিক পরিশুদ্ধ হয়ে যায়, তখন অন্য সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও ঠিক হয়ে যায়। পাশাপাশি সেগুলোর ইবাদতও যথার্থ হতে থাকে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আর্থিক ইবাদতগুলো প্রাণ ফিরে পায়। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘জেনে রেখো, শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীরই ঠিক হয়ে যায়। আর যখন তা খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীর খারাপ হয়ে যায়। জেনে রেখো, ওই গোশতের টুকরা হলো কলব (অন্তর)।’ ________________ (বুখারি, হাদিস : ৫২) ° অতএব অন্তরের ইবাদতগুলোর মাধ্যমে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা গেলে, অন্য ইবাদত আপনা-আপনি ঠিক হয়ে যাবে। আজকে আমরা আলোচনা করব, এমন কিছু ইবাদত নিয়ে, য...

যার চরিত্র যেমন,,তার জীবন সঙ্গী ও হবে তেমন"

ছবি
 "যার চরিত্র যেমন,,তার জীবন সঙ্গী ও হবে তেমন" (সূরা নূর আয়াত ২৬) আসলেই কুরআনে কি এ আয়াত আছে,,?? মানুষের না বোঝা ভুল ও এই আয়াত নাযিল হয় কিভাবে..?? আল্লাহতালা সেই আয়াতে পবিত্র কুরআনে বলেন,, "দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য; দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য; সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য' লোকেরা যা বলে তার সাথে তারা সম্পর্কহীন; তাদের জন্য আছে ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা' __(সূরা নুর আয়াত ২৬) আমরা একমাত্র ইসলাম নিয়ে অতি উৎসাহি না বুঝার দল এ আয়াতের অনুবাদ কে নিজের মনগড়া স্টাইলে চালিয়ে দিয়েছে' আমরা বলেছি "যার চরিত্র যেমন তার জীবন সঙ্গী ও হবে তেমন" (সূরা নুর আয়াত ২৬) অনেক বড় আলেম ওলামারাই কোরআন তাফসির না ঘেটে যখন মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বানী না বুঝেই জনসম্মুখে পেশ করেন এবং সেখান থেকেই ভুলগুলি শুরু হয়েই ছড়িয়ে পরে 'মূলত এই আলেমরাই চাই সমাজে যাতে খারাপ কাজ কম হয় তাই এই মন গড়া আয়াত বলে মানুষকে ভয় দেখানো 'কিন্তু এটা যে কত বড় পাপ সেইটা আরেকদিন দেয়া যাবে" কোরআনের আয়াতকে পরিবর...

✍️🌺ইসলামে দৃষ্টিতে সেরা মানুষ কারা ✍️🌾🌺

ছবি
 ,✍️🌺ইসলামে দৃষ্টিতে সেরা মানুষ কারা ✍️🌾🌺 আমাদের চোখে সেরা মানুষের সংজ্ঞা কী?  অনেক পড়াশোনা জানা, অনেক সম্পদের অধিকারী ইত্যাদি। চলুন দেখে নিই আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসূলের (সা) চোখে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষের গুণাবলীগুলো। রাসূলের (সা) বিভিন্ন হাদীস থেকে সেরা মানুষের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আমরা জানতে পারি। হাদীসগুলো থেকে কয়েকটি নিচে তুলে ধরা হলো। 👉🌺🌾✍️১। তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা সে, যে কুরআন শিখে এবং শেখায়। (বুখারী, পর্ব: ফাজায়েলুল কুরআন, অধ্যায়: ২১ হাদীস নং: ৫০২৭) ✍️👉🌾🌺২। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী। (বুখারী, পর্ব: শিষ্টাচার, অধ্যায়: উত্তম চরিত্র, হাদীস নং: ৬০৩৫) 👉🌺🌾৩। তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা ব্যক্তি সে, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো। (বুখারী, পর্ব: উকীল নিযুক্তকরণ, অধ্যায়: ৬, হাদীস নং: ২৩০৫) 👉✍️🌺৪। তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে যার কাছ থেকে সবাই কল্যান আশা করে, অনিষ্টের আশংকা করে না। ( তিরমিজী, পর্ব: ফিতান, অধ্যায়: ৭৬, হাদীস নং: ২২৬৩/২৪৩২) 👉✍️🌺৫। তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে তার পরিবারের নিকট ভালো। (ইবনে হিব্বান, পর্ব: বিবাহ, অধ্...

দুনিয়ার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক জান্নাতে যেমন হবে

ছবি
 দুনিয়ার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক জান্নাতে যেমন হবে একজন জান্নাতি নারী জান্নাতে কাকে স্বামী হিসেবে পাবে, তা নির্ভর করবে দুনিয়ায় চলে যাওয়া তার চার অবস্থার ওপর। কারণ একজন নারী পৃথিবীতে সাধারণত ছয়টি অবস্থার যেকোনো একটি অবস্থায় অবশ্যই থাকবে। এর বাইরে নয়। অবস্থাগুলো হলো—১. হয়তো সে বিয়ের আগেই মৃত্যুবরণ করবে। ২. কিংবা সে মৃত্যুবরণ করবে তালাকের পর অন্য কারো সঙ্গে বিয়ের আগেই। ৩. কিংবা সে বিবাহিতা, কিন্তু তার স্বামী জাহান্নামি। ৪. কিংবা সে তার বিয়ের পর মারা যায়। ৫. কিংবা তার স্বামী মারা গেল আর সে আমৃত্যু বিয়ে ছাড়াই রইল। ৬. কিংবা তার স্বামী মারা গেল, তারপর সে অন্য কাউকে বিয়ে করল। আর এসবের প্রতিটির জন্যই জান্নাতে স্বতন্ত্র হুকুম ও অবস্থা আছে। বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ একজন জান্নাতি নারীর ছয়টি অবস্থা তুলে ধরা হলো— ১. বিয়ের আগেই মৃত্যুবরণকরা জান্নাতি নারী : যদি ইহকালে কোনো জান্নাতি নারীর বিয়ে না হয়ে থাকে, তবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে দুনিয়ার এমন একজন পুরুষ অথবা এমন একজন অবিবাহিত পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেবেন, যা দেখে তার চোখ জুড়িয়ে যাবে। কেননা জান্নাতের নিয়ামত ও সুখসম্ভার শুধু পুরুষের জন্য নয়, বরং তা নারী ও পুর...