(শিরোনামটি ফেরিওয়ালাদের মত টান দিয়ে পড়বেন

 []~ফিতনা লাগবে... ফিতনা....

(শিরোনামটি ফেরিওয়ালাদের মত টান দিয়ে পড়বেন)


▪️চারিদিক ফিতনায় ভরা। অর্থের ফিতনা। অনর্থের ফিতনা। নারীর ফিতনা। পুরুষের ফিতনা। সন্তানের ফিতনা। সম্মানের ফিতনা। সম্পদের ফিতনা। খ্যাতির ফিতনা। ক্ষতির ফিতনা। গানের ফিতনা। দ্বীনদারির ফিতনা। 

.

▪️হরেক রকমের হরেক রঙের ফিতনা আমাদেরকে চারিপাশ দিয়ে ঘিরে রেখেছে। একটা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে আরো দশটা এসে বলে, " যাও কই? এদিকে আসো একটু।" একটু আসতে গিয়ে আর ফেরত আসা হয় না। ডুবে যায় নতুন ফেতনায়। 


▪️ফিতনারা ক্ষণে ক্ষণে রং পাল্টায়। পাল্টায় আহবানের সুর। সেই রং দেখে আর সেই সুর শুনে কত ছেলে-মেয়ে যে আজ ফিতনায় হাবুডুবু খাচ্ছে সে খবর কে রাখে! এসব ফিতনার খবর শুধু মনের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রতি মুহুর্তে প্রকাশিত থাকে। পত্রিকার পাতায় কিংবা টিভির নিউজে তখনি আসে যখন ফিতনার কাছে হেরে কেউ নিজেকে ধ্বংস করে ফেলে। আত্মহত্যা করে কিংবা মহাদুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। 


▪️প্রতিটি মানুষ ফিতনার মধ্যে নিমজ্জিত। একেকজনের জন্য একেক ফিতনা, একেক রুপ। আপনার ছেলে, মেয়ে, ভাই, বোন, কাজিন, বন্ধু, ক্লাসমেট, কলিগ সবাই। কেউ আপনাকে বলে কেউ বলে না। কিন্তু ফিতনা থেকে বাহিরে কেউ নাই। ফিতনা থেকে বাঁচার কোনো উপায় ফলপ্রসূ হচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ হলেও তা মোট হারের তুলনায় খুবই নগণ্য। এভাবেই সমাজ চলতে থাকে আর ভাবে কোনো সমস্যাই নেই। 


▪️আসলে যে সমাজ সমস্যার মধ্যে ডুবে আছে সে সমাজ কোনো সমস্যাকেই সমস্যা মনে করবে না, এটাই স্বাভাবিক। হাজারীবাগ চামড়ার ট্যানারির মধ্যে যাদের বসবাস তাদের কাছে তো চামড়ার গন্ধ কিছুই মনে হবে না, এটাই স্বাভাবিক। আগে ডাস্টবিনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় যে মানুষগুলোকে ডাস্টবিনের ময়লা নেড়েচেড়ে কিছু খুজতে দেখতাম তখন ভাবতাম যে, আমরা নাক বন্ধ করেও এখান দিয়ে যেতে পারি না আর তারা দিব্যি স্বাভাবিকভাবে ময়লা নাড়াচাড়া করে যাচ্ছে! এটা কিভাবে সম্ভব? আজ বুঝি কিভাবে সম্ভব। সয়ে গেছে। 


▪️একলোক হাজারীবাগ ট্যানারির মধ্যে নতুন কাজে গেলো। প্রথম দিন প্রচণ্ড দুর্গন্ধে তার বমি আসার উপক্রম। তো সাথের কলিগদের বললো, ভাই, এতো দুর্গন্ধ কেনো? আমি তো সহ্য করতে পারছি না। কলিগরা বললো, ওসব কিছু না, কদিন বাদে ঠিক হয়ে যাবে। কদিন বাদে ঠিকই ঠিক হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু কিভাবে? দুর্গন্ধ কমে গিয়েছিলো? না। দুর্গন্ধ কমেনি। বরং ঐ লোকের নাকে দুর্গন্ধ সহ্য হয়ে গিয়েছিলো। তাই কদিন পরে আর দুর্গন্ধকে দুর্গন্ধ মনে হয়নি। সে দুর্গন্ধের সাথে এডজাস্ট হয়ে গিয়েছিলো। 


▪️আমরাও এই দুর্গন্ধের সমাজের সাথে নিজেদের এডজাস্ট করে নিয়েছি। তাই সমাজের দুর্গন্ধ আমাদেরকে নাকে হাত দেয়ায় না, চোখে লজ্জা লাগায় না। ফিতনা আমাদেরকে শীতের চাদরের মত জড়িয়ে নিয়েছে। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া এই ফিতনার সুনামি থেকে বাঁচার কোনো উপায় দেখছি না। চেষ্টা তো করতেই হবে বাঁচার। তবে শুধু চেষ্টা আর কাজ করছে 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যার চরিত্র যেমন,,তার জীবন সঙ্গী ও হবে তেমন"

স্যার আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো,

বিজয়, আত্মত্যাগ আর সুবিধাবাদের গল্প ইয়াদ আল-কুনাইবি