রাগ মানুষকে ডাংশো করে
ইমাম সুয়ুতি রাহিমাহুল্লাহর চমৎকার উপদেশ
বাচ্চাদের মধ্যে এমন পাঁচটি স্বভাব আছে, যদি সেগুলো একজন মানুষের মধ্যে থাকে তবে সে আল্লাহর নৈকট্যশীল বান্দায় পরিণত হবে :
এক. জীবিকা নিয়ে নির্ভাবনা।
[শুধুমাত্র জীবিকা আর ক্যারিয়ারের পেছনে ছুটতে ছুটতে কত মানুষ আল্লাহর কথা ভুলে গেছে! সালাত ছেড়ে দিয়েছে! আখিরাত নিয়ে তাদের মনে বিন্দুমাত্র ভীতি কাজ করে না। অথচ হাদিসের ভাষ্য- আর রিজকু মাকসুমুন তথা রিজিক পূর্ব নির্ধারিত।]
দুই. অসুস্থ হলে স্রষ্টার বিরুদ্ধে অভিযোগ-অনুযোগ না করা।
[সুস্থ থাকাবস্থায় আল্লাহর কথা স্মরণ হয় না আমাদের। আর যখন অসুস্থ হই, তখন অভিযোগ আনি 'এতো মানুষের মধ্যে আল্লাহ আর কাউরে পাইলেন না বুঝি! আমার জীবনে এতো দুঃখ কেন?']
তিন. একত্রে খাবার খাওয়া এবং একা খেতে না চাওয়া।
[মুসলিমদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরিতে এর অনেকখানি প্রভাব আছে। যারা কখনো একসাথে বসে কিংবা এক প্লেটে খাবার খেয়েছেন, তাদের মধ্যে মনের অজান্তেই আন্তরিকতার সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি হয়েছে। এছাড়াও এতে অভাবী মানুষের প্রতি সহমর্মিতাবোধের শিক্ষা পাওয়া যায়।]
চার. ভয় পাওয়া মাত্রই চোখে পানি চলে আসা।
[জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তির কথা মনে পড়তেই যদি আপনার চোখে পানি এসে যায়, তাহলে বুঝতে হবে আপনি আল্লাহর নৈকট্যবান বান্দা। আল্লাহভীতি যার অন্তরে আছে, সে কখনো আখিরাতের ব্যাপারে উদাসীন হতে পারে না। তার অন্তর থাকবে সর্বদা নরোম।]
পাঁচ. ঝগড়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সব ভুলে মিলেমিশে যাওয়া।
[অল্পতেই রেগে যাওয়া একটি মন্দ অভ্যাস। তারচেয়ে মন্দ অভ্যাস হচ্ছে সেই রাগকে মনের ভেতর পুষে রাখা এবং সুযোগ বুঝে এর অপব্যবহার করা। এজন্যই সরল মনের ভোলাভালা মানুষদের কোনো শত্রু নেই। এরা খুব সহজেই নিজেকে মানিয়ে চলতে পারে। উপস্থিত ঝগড়াকে মন থেকে বিদেয় দিয়ে সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে পারে।]
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন