হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তাঁর পরিবারের কোন ব্যক্তি মারা গেলে মহিলারা এসে জড় হলো। তারপর তাঁর আত্মীয়রা ও বিশেষ ঘনিষ্ঠ মহিলারা ব্যতীত বাকী সবাই চলে গেলে, তিনি ডেগে ‘তালবীনা’*১ (আটা, মধু ইত্যাদি দিয়ে তৈরী খাবার) পাক করতে বললেন। তা পাকানো হলো। এরপর ‘সারীদ’ (গোশতের মধ্যে রুটির টুকরো দিয়ে তৈরী খাবার) প্রস্তুত করা হলো এবং তাতে তালবীনা ঢালা হলো। তিনি বললেনঃ তোমরা এ থেকে খাও। কারণ, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, ‘তালবীনা’ রুগ্ন ব্যক্তির হৃদয়ে প্রশান্তি আনে এবং শোক দুঃখ কিছুটা দূর করে* [মুসলিম ৩৯/৩০, হাঃ ২২১৬, আহমাদ ২৫২৭৪] *ফুটনোটঃ আধুনিক গবেষণা এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস অনুযায়ী যবের উপকারীতাসমূহ অপরিসীম। পাকস্থলী এবং অস্ত্রতে আলসারের রুগীদেরকে সকালের নাস্তায় নবীর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যামানায় উন্নত মানের ব্যবস্থা পত্র স্বরূপ তালবীনা প্রদান করা হত (*যব পিষিয়ে, দুধে পাকিয়ে তাতে মধু মিশ্রিত করলে তাকে তালবীনা বলা হয়) এতে আলসারের প্রতিটি রুগী ২/৩ মাসের মধ্যে আরোগ্য লাভ করত। 🕳️ প্রসাবের সাথে রক্ত ও পূঁজ পড়া রুগীদের, তা যে কারণেই হোক না কেন, উপযুক্ত চিকিৎসার সাথে যবের পানি যদি মধুর সাথে মিশ্রণ করে পান করানো যায় তাহলে এ রোগ পনের দিনের মধ্যে নিঃশেষ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আবার কখনো এ পদ্ধতি পেটের পাথর বের করার জন্যও খুব কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। পুরাতন আমাশয় ও কোষ্ঠকাঠিন্যর জন্য যবের আটা ঔষধ হিসেবে প্রচীন আরবে বহুল চর্চিত ছিল। সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৪১৭।(হাদীসের ফ্রুটনোট) Copy :Abdul Hi Muhammad Saifullah


 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যার চরিত্র যেমন,,তার জীবন সঙ্গী ও হবে তেমন"

স্যার আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো,

বিজয়, আত্মত্যাগ আর সুবিধাবাদের গল্প ইয়াদ আল-কুনাইবি