[Sunnah & Science : 071]
মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) স্রষ্টা আল্লাহর প্রতিনিধি না হলে, ১৪৪০+ বছর আগে কিভাবে ইঙ্গিত দিতে পারেন, লম্বা দাঁতওয়ালা প্রাণীর মাংস খাওয়া মানব প্রজাতির জন্য ক্ষতিকারক, যা আজকের বিজ্ঞান প্রমান করেছে ?
হাদিসঃ
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
«كُلُّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ، فَأَكْلُهُ حَرَامٌ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ
“লম্বা দন্ত বিশিষ্ট সকল হিংস্র পশুর গোশত খাওয়া হারাম।”
(সহীহ মুসলিম : ১৯৩৩)
যদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা দ্বারা কোন প্রাণীর গোস্ত খাওয়া ক্ষতিকর প্রমাণিত হয় তাহলে তা খাওয়া হারাম। চাই তা সামুদ্রিক হোক অথবা স্থলচর হোক।
কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَلَا تَقْتُلُوا أَنفُسَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّـهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
“আর তোমরা নিজেদেনরকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।”
(সূরা নিসা : ২৯)
তিনি আরও বলেন:
وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ ۛ
“তোমরা নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না।”
(সূরা বাকারা : ১৯৫)
প্রকৃতি কি বলছেঃ
পাপুয়া নিউগিনির কোরোয়া সম্প্রদায়, ভারতের অঘোরী, কঙ্গোর বুতি পিগমি কিংবা ফরাসি পলিনেশিয়ার নুকু হিবা- এসব সম্প্রদায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকলেও একটি বৈশিষ্ট্য এদেরকে এক সুতায় বাঁধতে সক্ষম হয়েছে। সেটি হলো ক্যানিবালিজম বা স্বজাতিভক্ষণপ্রথা। চোখের সামনে জ্বলজ্যান্ত একজন মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে কিংবা কেটে টুকরো টুকরো করে এরা স্বাভাবিক মাংসের মতো গোগ্রাসে সাবাড় করে দিতে পারে। পৃথিবীর ভ্রমণপিপাসুরা তাই এসব সম্প্রদায়ের বাসস্থানগুলো এড়িয়ে চলে। হিসেবে সামান্য ভুল হয়ে গেলেই এদের খপ্পরে পড়ে প্রাণ হারাতে হবে তাদের।
সাহিত্যের গণ্ডিতে জনপ্রিয় এই বৈশিষ্ট্য নিয়ে সর্বপ্রথম বৈজ্ঞানিক গবেষণার খাতা খুলেন লরেল ফক্স নামক এক পরিবেশবিদ। ১৯৭৫ সালে ফক্স তার একটি জার্নালে দাবি করেন, ক্যানিবালিজম কোনো অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য নয়। বরং এটি প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য গুণ।
ক্যানিবালিজমের অস্তিত্ব রয়েছে প্রাণীজগতে বিশেষ করে মাংশাসীদের মধ্যে। টাইগার সালাম্যাণ্ডার নামক সরীসৃপের ক্ষেত্রে কিছু কিছু লার্ভা ক্যানিবাল হিসেবে গড়ে উঠে। এরা নন-ক্যানিবাল সহোদরের মাংস ভক্ষণের মাধ্যমে জীবনধারণ করে। এর ফলে লার্ভার ঘনত্বও স্বাভাবিক হয়ে আসে। এরকম বৈশিষ্ট্য বেত ব্যাঙের মাঝেও দেখা যায়। এরা লার্ভার পরিবর্তে ডিম ভক্ষণ করে থাকে। স্বজাতিভক্ষণের ফলে অতিদ্রুত এরা বেড়ে উঠে। তবে এখানে ঘটনা শেষ নয়। পূর্ণবয়স্ক ব্যাঙের মাঝেও এই বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। মাঝারি থেকে ক্ষুদ্র আকারের বেত ব্যাঙরা বড়দের আহারে পরিণত হয়। এদের জীবদ্দশায় প্রায় ৬৪% খাদ্য আসে স্বজাতির মাংস থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল জু’ চিড়িয়াখানায় এক স্লথ ভালুক তার তিন ছানার মাঝে দুটিকে ভক্ষণ করে ফেলে। সন্তান ভক্ষণের মতো ভীতিকর ঘটনা ঘটে যখন মা তার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েন। দুর্বল সন্তানদের এই প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম থাকায় মা সন্তান ভক্ষণ শুরু করেন। এর ফলে ভক্ষক মা বেশ লাভবান হন। সন্তান ভক্ষক র্যাটল স্নেকের কথাই ধরা যাক। এরা প্রয়োজন মনে করলে সব শাবক খেয়ে ফেলতে পারে। এর ফলে এরা দ্রুত নতুন করে ডিম পাড়তে সক্ষম হয়ে উঠে। কয়েক প্রজাতির সাপ রয়েছে যারা ক্ষুধার তাড়না সহ্য করতে না পেরে নিজের ডিম খাওয়া শুরু করে।
কাঁকড়া মাকড়সা তার শাবককে অনিষিক্ত ডিম খেতে দেয়। কিন্তু ক্ষুধার্ত শাবক ডিম খেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না। তখন তারা তাদের মাকে আক্রমণ করে এবং ভাগাভাগি করে কয়েক সপ্তাহ ধরে খেয়ে ফেলে। মায়ের এই আত্মত্যাগের কারণে তাদের সন্তানেরা সমসাময়িক অন্যান্য মাকড়সার চেয়ে বহুগুণ বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠে। এদের গড় আয়ুও অন্যদের চেয়ে বেশি হয়।
প্রাণিজগতের বিচিত্রতার একটি বিস্ময় হচ্ছে সঙ্গম সঙ্গীকে খেয়ে ফেলা। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় স্ত্রী প্রাণীটি পুরুষ সঙ্গীকে ভক্ষণ করে ফেলে। এই অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত হচ্ছে ম্যান্টিস বা দীর্ঘপদী ঘাসফড়িঙ। এরা পুরুষ পতঙ্গের মাথা খেয়ে ফেলে। মাথাবিহীন পুরুষ তারপরেও সঙ্গম চালিয়ে যেতে থাকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত। অস্ট্রেলিয়ান রেডব্যাক মাকড়সার পুরুষরা আবার একটু স্বেচ্ছাসেবী গোছের। এরা সঙ্গমের সময় নিজে থেকে পুরো দেহ স্ত্রী মাকড়সার মুখের ভেতর ভরে দিয়ে তাকে ভক্ষণ করতে সহায়তা করে। প্রশ্ন হচ্ছে, এর ফলে স্ত্রী প্রজাতির কী লাভ হচ্ছে? গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব প্রাণীর পুরুষরা সঙ্গমকালে স্ত্রী কর্তৃক ভক্ষণের শিকার হন, তাদের পরবর্তী প্রজন্মের প্রাণীরা যথেষ্ট শক্তিশালী হিসেবে বেড়ে উঠে।
ক্যানিবালিজম শুধুই এই প্রাণীদের উপকার করে। বরং প্রতিটি বিষয়ের মতো এরও কিছু অপকারী দিক রয়েছে। এর মধ্যে প্রথমেই ধরা যাক, প্রাণীরা যখন সহোদর, মা বা স্বজাতি কারো মাংস খায়, তখন শিকারের দেহে থাকা বিভিন্ন রোগ-জীবাণু খাদকের দেহে স্থানান্তরিত হয়ে যায়। এর ফলে খাদক প্রাণীটি সেসব রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে। এর জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হিসেবে পাপুয়া নিউগিনি অঞ্চলের ফোর উপজাতির কথা বলা যায়। মানব মস্তিষ্ক ভক্ষণের কারণে এই জাতির মাঝে কুরু রোগ ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণঘাতী কুরুর কারণে ফোর জাতির চিহ্ন পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা দাঁড়িয়েছিলো। মানুষের ন্যায় রোগের কবলে পড়ে বন্যপ্রাণীরাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা একদম উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বিচিত্র আমাদের এই পৃথিবী। বিচিত্র এর মাঝে বসবাস করা সব প্রাণী। রুক্ষ পৃথিবীতে টিকে থাকার সংগ্রামে বিচিত্র এদের জীবনচিত্র। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় এরা এতটাই বদ্ধ পরিকর যে স্বজাতিভক্ষণের মতো ভয়াবহ পন্থা অবলম্বন করতেও এরা পিছপা হয়নি। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে হয়তো সেটা ভয়ঙ্কর, কিন্তু প্রকৃতির খেয়ালে এটি স্বাভাবিক। বলতে গেলে, ক্যানিবালিজম বিশেষ কনে মাংশাসী প্রাণিজগতের অন্যতম বিস্ময়কর পন্থা।
এবার বিজ্ঞান কি বলছে দেখিঃ
পৃথিবীর তাবৎ প্রাণীকূলের খাবারের শ্রেণী ও সময় নির্দিষ্ট করা আছে; কেউ সেই সীমা লঙ্ঘন করে না। যে সকল প্রাণী তৃণভোজী (নিরামিষাশী), তারা কখনো মাংস খায় না; আবার যে সকল প্রাণী মাংসাশী, তারা কখনো গাছ, লাতা-পাতা খাবে না। প্রাকৃতিক দূর্যোগ কিংবা প্রতিকূল পরিবেশে তারা প্রয়োজনে স্থান বদল করবে, তবু বিকল্প খাদ্যগ্রহণ করবে না। অন্যদিকে যে সকল প্রাণী দিবাভাগে (সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত) খাবার খায়, তারা রাতের বেলা খাদ্যগ্রহণে বিরত থাকে আর নিশাচর প্রাণীরা দিনের বেলা খাবার খায় না।
সৃষ্টির সূচনা থেকে সবকিছু একই নিয়মে চললেও কেবলমাত্র মানুষই সৃজনশীলতা ও সৃষ্টিশীলতার নামে ক্রমাগত প্রকৃতির সকল নিয়ম ভঙ্গ করতে শিখেছে! মানুষই একমাত্র প্রাণী- যার খাদ্যতালিকায় আমিষ, নিরামিষ সবই ঠাঁই পেয়েছে অর্থাৎ সে সর্বভূক প্রাণীতে পরিণত হয়েছে! পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র প্রাণী- যে দিনেও খায় আবার রাতেও খায়! পরিণামে মানুষ একদিকে শারীরিক সুস্থতা তথা সক্ষমতা হারাচ্ছে, অন্যদিকে তার মনুষ্যত্ব হারিয়ে ক্রমান্বয়ে হিংস্র প্রাণীর ন্যায় আচরণ করছে। এই নিবন্ধে আমরা প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করব- মানুষ কি প্রাকৃতিকভাবে নিরামিষাশী নাকি মাংসাশী প্রাণী?
• যে সকল প্রাণী মাংস খেয়ে জীবনধারণ করে, তাদের লালারস অম্লধর্মী (acidic) হয়, কিন্তু তৃণভোজী অর্থাৎ নিরামিষাশী প্রাণীর লালারস হবে ক্ষারধর্মী (alkaline)। লালারস অম্লধর্মী হওয়ার সুবিধা হলো মাংসাশী প্রাণীরা মাংস কাঁচা খায় এবং না চিবিয়ে হজম করে ফেলতে পারে। তাদের মুখে ও পাকস্থলিতে অম্লধর্মী হজমী রস আছে। অন্যদিকে তৃণভোজী প্রাণীদের আহার্যদ্রব্য ভালোভাবে চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে হয়। কারণ তাদের মুখে ও পাকস্থলিতে যে হজমী রস বের হয়, তা ক্ষারধর্মী এবং মূলত লতা-পাতা হজমেরই উপযুক্ত। মানুষ চিবিয়ে খাবার না খেলে ঠিকমতো হজম হয় না।
• পাচন প্রক্রিয়ার রাসয়নিক বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মাংসাশী প্রাণীদের পাকস্থলিতে যে পরিমাণ Hydrochloric acid নিঃসরণ হয়, নিরামিষাশী প্রাণীদের তার দশভাগের একভাগ নিঃসরণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ মানুষের পাচনতন্ত্র মূলত শুধুমাত্র মাছ-মাংস সহজে হজমের উপযোগী করে তৈরি নয়। এ কারণেই ইউরিক এসিড-এর সৃষ্টি হয়, যা অন্য কোনো নিরামিষাশী প্রাণীর হয় না।
• কোনো মাংসাশী প্রাণীর লবণ বা নোনতা খাবারের প্রতি লালসা নেই, কিন্তু নিরামিষাশী প্রাণীদের নোনতা খাবারের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকবে- এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। মানুষ খাবার রান্না করার সময় লবণ মেশায়; তারপরও খাবার টেবিলে কাঁচা লবণ রাখে! অনেকে কাঁচা লবণ ছাড়া ভাত খেতেই পারেন না (এমনকি কাঁচা লবণ খেতে খেতে কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট করে ফেলেন)! এই বৈশিষ্ট্য তথা লবণের প্রতি আসক্তি প্রমাণ করে মানুষ মূলত নিরামিষাশী প্রাণী।
• মাংসাশী প্রাণী (বাঘ, সিংহ, কুকুর, শেয়াল) অনেকক্ষণ দৌড়ালেও তাদের শরীর থেকে কোনো ঘাম বের হয় না। শুধুমাত্র জিহবা বের করে হাঁপায় আর জিব থেকে টপটপ করে পানি ঝরতে থাকে। অন্যদিকে নিরামিষাশী প্রাণীকূল যেহেতু লবণ খায়, দৌড়ালে তাদের শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়। এই বৈশিষ্ট্যও প্রমাণ করে মানুষকে মূলত তৃণভোজী করে সৃষ্টি করা হয়েছে।
• সকল মাংসাশী প্রাণীর পরিপাকতন্ত্র (মুখ থেকে পায়ুপথ) তার দেহের সাড়ে তিনগুণ লম্বা। অন্যদিকে সকল নিরামিষাশী প্রাণীর পরিপাকতন্ত্র তার দেহের সাড়ে বারোগুণ পর্যন্ত লম্বা হতে পারে (ছবিতে দেখুন)। মাংসাশী প্রাণীদের পরিপাকতন্ত্র (খাদ্যনালী) তুলনামূলক ছোট হওয়ার কারণ অম্লধর্মী হজমীরসের প্রভাবে দ্রুত খাবার হজম হয়ে যায় এবং কম সময়ের মধ্যে শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দিতে হয়। কিন্তু নিরামিষাশী প্রাণীদের খাদ্যনালী তুলনামূলক দীর্ঘ কারণ ক্ষারধর্মী হজমীরসের প্রভাবে খাবার হজম হতে যথেষ্ট সময় লাগে। মানুষ মুখে যে খাবারটি গ্রহণ করে, পাকস্থলি, ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদান্ত হয়ে পায়ুপথ পর্যন্ত তা প্রায় সাড়ে ২৯ ফুট পথ অতিক্রম করে। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, মানুষের পরিপাকতন্ত্র মূলত তৃণভোজী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।
• পানি পানের ধরন দেখেও মাংসাশী ও নিরামিষাশী প্রাণীদেরকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়। মাংসাশী প্রাণী জিব দিয়ে চেটে চেটে পানি পান করবে। কারণ সে চুমুক দিয়ে নিঃশ্বাসের টানে পানি পান করতে পারে না। কিন্তু নিরামিষাশী প্রাণীমাত্রই পানির মধ্যে মুখ ডুবিয়ে নিঃশ্বাসের টানে অথবা চুমুক দিয়ে পানি পান করে থাকে।
• দাঁতের গঠন ও বৈশিষ্ট্য দেখেও মাংসাশী ও নিরামিষাশী প্রাণীদের শ্রেণীভেদ করা সম্ভব। যে সকল প্রাণী মাংস খেয়ে জীবনধারণ করে, তাদের দাঁতগুলো ছুঁচালো (ছেদন উপযোগী)। অন্যদিকে যে সকল প্রাণী তৃণভোজী, তাদের দাঁতগুলো পাশাপাশি সুবিন্যস্ত। মানুষের ৩২টি দাঁতের মধ্যে চারটি ছেদন দাঁত রয়েছে (মাংস ছিঁড়ে খাওয়ার উপযোগী) আর বাকি ২৮টি সমান। অর্থাৎ অনুপাত হচ্ছে ২৮:৪ বা ৭:১। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, গড়ে সাতদিন শাকসবজি খাওয়ার পর একদিন ভালোভাবে চিবিয়ে মাংস খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু মানুষ তার খাদ্যতালিকায় মাংসকে নিয়মিত আর শাকসবজিকে অনিয়মিত বানিয়ে ফেলেছে! যে পরিপাকতন্ত্র তৃণভোজনের উপযোগী করে তৈরি, তাকে যখন দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর মাছ-মাংস খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, তখনি হজমের গন্ডগোল দেখা দিচ্ছে এবং অসময়ে নানারকম রোগ মানুষের শরীরে বাসা বাঁধছে!
• কোনো নিরীহ চরিত্রের তৃণভোজী প্রাণী যদি নিয়মিত প্রকৃতির নিয়ম বহির্ভুত মাংস খাওয়ায় অভ্যস্থ হয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও ক্রমান্বয়ে মাংসাশী হিংস্র প্রাণীর রূপ ধারণ করতে বাধ্য। মানুষের ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই ঘটেছে।
খাদ্যগ্রহণের ভুলে মানুষ তার মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলেছে; সে প্রতিনিয়ত পশুর মতো আচরণ করছে! অথচ প্রকৃতির নিয়মে অভ্যস্ত হওয়ার মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যগত সুবিধা নিতে পারতাম। তা না করে অতিরিক্ত ও প্রকৃতির নিয়ম বহির্ভুত মাংস খেয়ে আমরা আমাদের স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছি, ক্রমান্বয়ে আমাদের মধ্যে হিংস্রতা, আত্মকেন্দ্রীকতা. বিভিন্ন রোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর বদলে যাচ্ছে আচার আচড়নও।
Carnivores, Omnivores, and Herbivores: Their Differences and Roles in the Food Chain.
https://www.dentalone-md.com/locations/oxon-hill/carnivores-omnivores-and-herbivores-their-differences-and-roles-in-the-food-chain/
Why Can Animals Eat Raw Meat, But We Can’t?
https://in.mashable.com/science/13650/why-can-animals-eat-raw-meat-but-we-cant
Carnivores know that eating other carnivore carcasses transmits diseases.
https://phys.org/news/2017-12-carnivores-carnivore-carcasses-transmits-diseases.html
Why the Carnivore Diet is Probably Unhealthy and What to Try Instead.
https://www.mygenefood.com/blog/why-the-carnivore-diet-is-unhealthy-what-to-try-instead/
মাংসাশীরা জানে যে অন্যান্য মাংসাশী মৃতদেহ খাওয়ার ফলে রোগ ছড়ায়।
https://phys.org/news/2017-12-carnivores-carnivore-carcasses-transmits-diseases.html
Please do not try to survive on an all-meat diet.
https://www.popsci.com/carnivore-all-meat-diet/
কোরআন ও হাদিসের বাণী গবেষনা তথ্য সব পর্ব একসাথে একজায়গায় পেতে Visit করতে পারেন : https://www.facebook.com/groups/3653692774658521/?ref=share
অন্য মুসলিমের জানার জন্য শেয়ার বা কপি/পেষ্ট করুন, সওয়াব অর্জন করুন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন