পানি পান করাটাও ইবাদতে পরিণত হবে যদি সুন্নাহ নিয়তে আপনি সেই রুলস অনুযায়ী পান করেন। হাদীসে পানি পানের ৬টি সুন্নাহ বর্ণিত আছে। চেক করে নিন তো,আপনি পানি পান করার সময় সব সুন্নাহ ফলো করেন কিনা..... .

 পানি পান করাটাও ইবাদতে পরিণত হবে যদি সুন্নাহ

নিয়তে আপনি সেই রুলস অনুযায়ী পান করেন।

হাদীসে পানি পানের ৬টি সুন্নাহ বর্ণিত আছে।

চেক করে নিন তো,আপনি পানি পান করার সময় সব

সুন্নাহ ফলো করেন কিনা.....

.

(1)ডান হাতে পানি পান করা।

(2)পান করার পূর্বে পানি দেখে নেয়া।

(3)বিসমিল্লাহ্ বলে শুরু করা।

(4)বসে পানি পান করা।

(5) ৩ ধাপে(ঢোকে) পানি পান করা।

(6) আলহামদুলিল্লাহ্‌ বলে শেষ করা।

.

(হাদীসগুলা পাবেন মুসলিম হাঃ নং ২০২০,মুসলিম হাঃ নং

২০২৪,বুখারী শরীফ হাঃ নং ৫৬২৬,তাবরানী আওসাতা হাঃ

নং ৬৪৫২)

~~~~~~~~~~~~~

এবার আসি এই সুন্নাহগুলার সায়েন্টিফিক কিছু ব্যাপার

নিয়ে....

যদিও একজন মুমিন কখনো ইবাদতের মধ্যে এসব

সায়েন্টিফিক ব্যাপার সেপার খুঁজতে যায় না,তবুও দিলাম

তাদের জন্য যারা সুন্নাহকে প্রাণ নিয়ে পালন করতে

চায় না...

.

৪নং রুলস(সুন্নাহ) এর কথাই আসিঃ

বসে পানি পান করা....

এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে পানি পানের ক্ষতিকারক

দিকগুলো নিয়ে মেডিকেল কি বলে দেখুনঃ

১. যখন আপনি দাঁড়িয়ে পানি পান করেন তখন পানি

সরাসরি আপনার পাকস্থলিতে চলে যায়। তারপর খুব

দ্রুতই প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এর

মাধ্যমে আপনার কিডনির ক্ষতি হতে পারে।

২. দাঁড়িয়ে পানি পান করলে আপনার শরীরের

জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।

৩. এই অভ্যাসটি আপনার শরীরের অক্সিজেন

সরবরাহকে বাধা দেয়। এতে করে আপনার

ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে।

৪. দাঁড়িয়ে পানি খেলে নার্ভে প্রদাহ বেড়ে যায়।

ফলে কোনও কারণ ছাড়াই দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ

বেড়ে যেতে পারে।

.

নেক্সট আসি,পানি পানের ৫নং সুন্নাহতেঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঊটের মত এক

ঢোকে পানি গিলতে নিষেধ করেছন বরং সুন্নাহ

হচ্ছে তিন ঢোকে পানি পান করা।

সুবাহানাল্লাহ! আজকের বিজ্ঞান এটা বলছে যে, যখন

কেউ অতি দ্রূত সময়ে অধিক পানি পান করে

ফেলে তখন তার মাথাব্যথা, রক্তের

ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রার উঠানামা সেই সাথে

মাথাঘোরাও অনুভূত হতে পারে। শুধু তাই নয় ধীরে

ধীরে পানি পান করলে তা সহজেই এবসর্ব করা যায়

এবং সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়।

.

ও হ্যা,২নং সুন্নাহ নিয়ে আমার একটা ঘটনা

বলি...একদিন ভোরে অন্ধকারে গ্লাসে পানি

ঢেলে পান করার পর আবার পানি ঢাললাম...কি মনে

করে লাইট জ্বালালাম।

ওয়াক থুঃ!...

দেখি,অসংখ্য পিঁপড়া পানির উপর কিলবিল করছে,পানিতে

ভাসছে!

বুঝতে পারলাম,সব ক্ষেত্রেই সুন্নাহ পালনের

দরকারটা কেনো...

.

...আসল কথা হচ্ছে,পানি পান করেও

যদি আমলনামা ভারী করতে চান,

এখন থেকে এই ৬টা সুন্নাহ মাথায়

রাখবেন & এপ্লাই করবেন,ইনশা আল্লাহ



মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যার চরিত্র যেমন,,তার জীবন সঙ্গী ও হবে তেমন"

ছবি
 "যার চরিত্র যেমন,,তার জীবন সঙ্গী ও হবে তেমন" (সূরা নূর আয়াত ২৬) আসলেই কুরআনে কি এ আয়াত আছে,,?? মানুষের না বোঝা ভুল ও এই আয়াত নাযিল হয় কিভাবে..?? আল্লাহতালা সেই আয়াতে পবিত্র কুরআনে বলেন,, "দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য; দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য; সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য' লোকেরা যা বলে তার সাথে তারা সম্পর্কহীন; তাদের জন্য আছে ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা' __(সূরা নুর আয়াত ২৬) আমরা একমাত্র ইসলাম নিয়ে অতি উৎসাহি না বুঝার দল এ আয়াতের অনুবাদ কে নিজের মনগড়া স্টাইলে চালিয়ে দিয়েছে' আমরা বলেছি "যার চরিত্র যেমন তার জীবন সঙ্গী ও হবে তেমন" (সূরা নুর আয়াত ২৬) অনেক বড় আলেম ওলামারাই কোরআন তাফসির না ঘেটে যখন মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বানী না বুঝেই জনসম্মুখে পেশ করেন এবং সেখান থেকেই ভুলগুলি শুরু হয়েই ছড়িয়ে পরে 'মূলত এই আলেমরাই চাই সমাজে যাতে খারাপ কাজ কম হয় তাই এই মন গড়া আয়াত বলে মানুষকে ভয় দেখানো 'কিন্তু এটা যে কত বড় পাপ সেইটা আরেকদিন দেয়া যাবে" কোরআনের আয়াতকে পরিবর...
আরও পড়ুন

স্যার আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো,

ছবি
 ভার্সিটিতে প্রথম যেদিন ক্লাস করতে যাই সেদিন স্যার একে একে সবার সাথে পরিচিত হচ্ছিলো। আমি যখন দাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় দিবো তখন স্যার আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো, - তুমি কি আই এসের সদস্য? এই ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছো জঙ্গি হামলা করার জন্য না কি? স্যারের কথা শুনে ক্লাসের সবাই হাসতে লাগলো। আমি মাথাটা নিচু করে স্যারকে বললাম, -- স্যার, আপনার কথাটা ঠিক বুঝলাম না। স্যার আবারও হাসতে হাসতে বললো, - তোমার মুখ ভর্তি দাড়ি দেখে তো এটাই মনে হলো। সেদিনের পর কেউ আমাকে আবুল বাশার বলে ডাকে না। সবাই জঙ্গি বাশার বলেই ডাকে... স্যারকে দেখতাম মাঝে মাঝেই মজার চলে আমাকে নানা রকম অপমান করতো। সেদিন স্যার আমাকে দেখিয়ে সবাইকে বললো, - বাশারের থেকে কিছু শিখো তোমরা। ৩ দিন পর পর সেভ করলে নাপিতকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিতে হয়।কিন্তু বাশারের দিতে হয় না কারণ সে দাড়ি রেখে দিয়েছে৷ একটা ভালো জিন্স প্যান্ট কিনতে গেলে ২৫০০ টাকা লাগে একটা ভালো শার্ট কিনতে গেলে ১৫০০ টাকা লাগে কিন্তু বাশারের এইসব কিছুই লাগে না। সে ৫০০ টাকা দিয়ে পাঞ্জাবি পায়জামা বানিয়ে ফেলতে পারে। তোমরা ছেলেরা সবাই খরচ কমাতে বাশারকে ফলো করো। স্যারের মুখ থেকে এইসব কথা ...
আরও পড়ুন

বিজয়, আত্মত্যাগ আর সুবিধাবাদের গল্প ইয়াদ আল-কুনাইবি

ছবি
 বিজয়, আত্মত্যাগ আর সুবিধাবাদের গল্প ইয়াদ আল-কুনাইবি  . কল্পনা করুন, বিশাল প্রাসাদে বন্দী একদল মানুষ। বের হবার দরজা কেবল একটা। সে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। দরজা খুলতে চাবি লাগবে। প্রাসাদের ভেতরের এক পাশের দেয়ালে দশটা গর্ত। যেকোনো একটায় আছে দরজার চাবি। কোন গর্তে চাবি আছে সেটা কেউ জানে না। হিসেব খুব সহজ তাই না? গর্তগুলো খুঁজে খুঁজে চাবিটা খুঁজে বের করে নিলেই ল্যাঠা চুকে যায়।  . হ্যাঁ, হিসেব সোজা। তবে একটা জটিলতা আছে। দশটা গর্তের একটার মধ্যে তো চাবি, কিন্তু বাকি নয়টার মধ্যে আছে বিষাক্ত কালকেউটে সাপ।  .  সহজ সমীকরণের এ জটিলতার কারণেই বুঝি কেউ সাহস করে আগাচ্ছে না। সবাই বসে আছে নিষ্ক্রিয় হয়ে। কেউ কেউ প্রাসাদের তুলনামূলক আরামদায়ক কোনো কোণা বেছে নিয়ে শুরু করে দিয়েছে বিছানাপাতি গোছানো। বন্দীত্বকেই যেন নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছে সবাই।  . শেষমেশ একজন উঠে দাঁড়াল। চোখে ইস্পাতের দৃঢ়তা। আত্মবিশ্বাসী পায়ে হেঁটে গেল গর্তগুলোর কাছে। একটা গর্ত বেছে নিয়ে ভাবলেশহীন মুখে হাত ঢুকিয়ে দিল...সাপ ছোবল দিল। মানুষটা মারা গেল প্রায় সাথে সাথে।  . উঠে দাঁড়াল আরও একজন। হাতে একটুকরো কাপড় পেঁ...
আরও পড়ুন