গলা পর্যন্ত খাবার আর নয়।
🔘গলা পর্যন্ত খাবার আর নয়।
.
✍️উমার ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, ‘তোমরা পেট ভরে খাবে না। কেননা এটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে, রোগ ডেকে আনে এবং নামাজে অলসতা সৃষ্টি করে।’
.
বিশিষ্ট সাহাবি আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘উদ (রা.) বলেন, ‘যে আলিম পেট ভরে খেয়ে মোটা হয়েছে, তাকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।’
.
সত্যি বলতে, আমাদের ‘ইবাদাতে একাগ্রতা ও তৃপ্তি না আসার কারণগুলোর অন্যতম হলো অতিরিক্ত খাওয়া। এটি শরীরকে অলস বানিয়ে ফেলে এবং মনকে স্থবির করে রাখে।
.
আমরা নিশ্চয়ই জানি : পেটকে তিন ভাগ করে এক খাবার, এক ভাগ পানি আর এক ভাগ খালি রাখাটা সুন্নাহ। তবে খেতে বসলে একেবারে গলা পর্যন্ত খেয়ে নিই। এই সুন্নাতটির উপর আমল খুবই কম হয়।
.
বর্তমানে হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার থেকে নিয়ে বড় বড় রোগগুলোর নিয়ন্ত্রণে খাবারে সীমাবদ্ধতা অপরিহার্য করে দেন ডাক্তারগণ। বাস্তবতা হলো, মানুষ আজকাল না খেয়ে যে পরিমাণে মারা যাচ্ছে, তার চেয়ে বহুগুণে মারা যাচ্ছে বেশি খেয়ে।
.
আমাদের মহান আদর্শ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাথীরা খাবারের ব্যাপারে অত্যন্ত সিরিয়াস ছিলেন। তাঁরা ভুড়িওয়ালা ছিলেন না। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সারাজীবনে পেটভরে খাবার খাননি। মাসের পর মাস চলে যেতো, রাসুলুল্লাহর স্ত্রীদের ঘরে চুলায় আগুন জ্বলত না। একটি-দুটি খেজুর চুষে চুষে সারাদিন কাটিয়ে দিতেন।
.
উমার (রা.) একটু চড়া মেজাজের ছিলেন। ওই সময় যারা বেশি খেতেন, তাদেরকে তিনি প্রহারও করতেন। আহলে সুফফার সদস্যগণ ক্ষুধার তাড়নায় মাঝে মধ্যে চিৎকার দিয়ে ওঠতেন; বেহুঁশ হয়ে যেতেন। এক গ্লাস দুধ খেয়ে দিন কেটে যেত তাঁদের। আজ আমাদের কাছে এগুলো রুপকথার গল্পের ন্যায় মনে হয়। অথচ এগুলো বাস্তব সত্য।
.
আল্লাহ আমাদেরকে স্বর্ণযুগের সেই সোনার মানুষদের পদাঙ্ক অনুসরণের তাওফিক দান করুন। আমিন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন