২ মিনিট সময় হবে ত আপনার...?

 ২ মিনিট সময় হবে ত আপনার...?


আসলে, আমরা অনেক বিষয় ই জানি কিন্তু হয়তো কখনো সেই বিষয় গুলার গুরুত্ব মর্যদার প্রতি খেয়াল করা অনুভব করাটার হয়তো অনেক সময় হয়ে উঠেনা


অনেক সময় সামান্য অনুভব উপলব্ধি ও

জীবনের অনেক কিছু পাল্টে দিতে পারে।

অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর ও এনে দিতে পারে।


আজকের লিখাটা কষ্টকরে  একসাথে পড়বেন না। ষ্টেপ বাই ষ্টেপ করে পড়বেন। এবং * চিহ্ন নিয়ম গুলা একটা একটা পালন করার চেষ্টা করবেন।


আসুন আস্তে আস্তে শুরু করা যাক...


* প্রথমত কয়েকবার বড় বড় করে শ্বাস নিয়ে রিলেক্স হয়ে বসুন...একদম রিলেক্স....মেন্টাললি প্রস্তুতি নিন।


তারপর


* রিলেক্স হয়ে বসে চোখ দু'টি বন্ধ করে...

সাদ্যমত লম্বা করে একটা নিশ্বাস নিন এবং না ফেলে  আটকে রাখুন। কত সেকেন্ড ধরে রাখতে পারেন, ট্রাই করুন। নিশ্বাস আটকাই রাখার একটুপর এক পর্যায়ে যখন অল্প অল্প কষ্ট হতে থাকবে আপনার ব্রেইন যখন আপনাকে বারবার ইংগিত দিতে থাকবে নিশ্বাস ফেলতে আপনি তারপরে ও সাদ্যমত নিশ্বাস না ফেল আটকে রাখার ট্রাই করুন যতক্ষন পারেন।


আর যখন কষ্ট ফিল হবে তখন লন্স ডুবিতে পানির মধ্যে ডুবে যাওয়া মানুষ গুলার নিশ্বাস না নিতে পারার যন্ত্রণা কেমন ছিলো, ১টি নিশ্বাস নেওয়ার জন্য কত আকুতি মিনতি না করেছিলো তারা ভেবে দেখুন অনুভব করুন। কোন একদিন তো এমনি এই নিশ্বাস বন্ধের যন্ত্রণা ফেইস করতেই হবে আমাদের । কেমন লাগবে সেইদিন।


যখন নিশ্বাস আর আটকাই রাখতে পারবেন না... অনেক কষ্ট হবে... তখন নিশ্বাসটা ফেলে দিয়েন।


👉এইবার মোবাইলটা সাইড করে রেখে রিলেক্সলি ভাবে গেইমটা শুরু করুন। সময় বা জিকির সংখ্যা কিন্তু গননা করবেন।


যদি উপরের  নিশ্বাস আটকানোর নিয়মটা আপনি পালন করে থাকেন তাহলে খেয়াল করে দেখলে দেখবেন--- 


আপনার হার্ডবিট বুক সহ সারা শরীরে নিশ্বাসের গতিতে এক মহা পরিবর্তন আসছে। সারা দুনিয়ার শান্তি পেয়ে গেলেন মত এক শান্তি অনুভব হবে। এই মূহুর্তে  দেখুন তো আপনার জীবনের কোন দুঃখ কষ্ট না পাওয়া আক্ষেপের কোন কথা যন্ত্রণা মনে পরছে কি না....। 


এইবার মন থেকে ভেবে দেখুন --অনুভব করে দেখুন ---

কত বড় নিয়ামত আল্লাহ দিয়েছেন আমাদেরকে প্রতি সেকেন্ডে তা ও আবার ফ্রি একদম ফ্রি। এই দয়ার শুকরিয়া কি দিয়ে আদায় করবো আমরা।


যেই নিশ্বাস না থাকলে কারো কোন অস্তিত্বই থাকবেনা। কোন কিছুই না। হিংসা অহংকার আমিত্ব রাগ অভিমান লোভ জুলুম অত্যাচার প্রতিশোধ দেখানো নেওয়ার কোন সুযোগ ই থাকবেনা।


আল্লাহর দরবারে সিজদা করা..কষ্টকরে ন্যায় পথে চলা.. আল্লাহকে রাজি করার চেষ্টা করা, নিজের গুনাহের জন্য অনুশোচনা তওবা করে ক্ষমা চাওয়ার আর কোন সুযোগ ই থাকবেনা।


মন থেকে একবার ভেবে দেখে বলুন তো...


আসলেই কি আমাদের  না পাওয়ার কষ্ট আফসোস হা হুতাশটা বেশী করা উচিৎ,  নাকি না চাওয়াতেও যেই দয়াময় আপন গুনে অসীম ভাবে দান করে যাচ্ছেন আমাদের প্রতি নিয়ত সেই সৃষ্টিকর্তার প্রেমে অন্তরকে পাগল বানিয়ে উনাকেই খুশী করার জন্য নিজেদের সমস্ত স্বপ্ন আশাকে কুরবানি করে দিয়ে উনার দরবারে শুকরিয়া আদায় করা উচিৎ। 


প্রশ্ন চিন্তা আপন আপন বিবেকের কাঠগড়ায়....

একটু উপলব্ধি অনেক কিছুই পাল্টে দিতে পারে।


হতে পারে এই গেইম শব্দটা অনেকের কাছে হাস্যকর বা সামান্য ইজি কোন বিষয় হতে পারে। কিন্তু একটা নিশ্বাসের দামের হিসেব করতে বসলে অনেক বড় কিছু আমাদের জন্য।


যদি আমি অযোগ্যের লিখায় কেউ কষ্ট পান বা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করেদিছি মনে হয়


তবে আমি অধম ক্ষমা প্রার্থী। 


সেই নিশ্বাস ই মহা মূল্যবান ও সফল

যেই নিশ্বাসে, নিশ্বাস দাতাকে সন্তুষ্টি করতে পারে।


নিশ্বাস বন্ধ রাখার সময়ের অনুভূতি ও আল্লাহর নিয়ামতের অনুভবের কথা আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্টস বক্সে জানাবেন আশাকরি।





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যার চরিত্র যেমন,,তার জীবন সঙ্গী ও হবে তেমন"

স্যার আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো,

বিজয়, আত্মত্যাগ আর সুবিধাবাদের গল্প ইয়াদ আল-কুনাইবি