পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর।

ছবি
 সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর। ১. প্রশ্নঃ আমি ধনী হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অল্পতুষ্টি অবলম্বন কর; ধনী হয়ে যাবে। ২. প্রশ্নঃ আমি সবচেয়ে বড় আলেম (ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী) হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, তাক্বওয়া (আল্লাহ্ ভীরুতা) অবলম্বন কর, আলেম হয়ে যাবে। ৩. প্রশ্নঃ সম্মানী হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সৃষ্টির কাছে চাওয়া বন্ধ কর; সম্মানী হয়ে যাবে। ৪. প্রশ্নঃ ভাল মানুষ হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপকার কর। ৫. প্রশ্নঃ ন্যায়পরায়ণ হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা নিজের জন্য পছন্দ কর; তা অন্যের জন্যেও পছন্দ কর। ৬. প্রশ্নঃ শক্তিশালী হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর উপর ভরসা কর। ৭. প্রশ্নঃ আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদার অধিকরী হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ (জিকির) কর। ৮. প্রশ্নঃ রিযিকের প্রশস্ততা চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সর্বদা অযু অবস্থায় থাকো। ৯. প্রশ্নঃ আল্লাহর কাছে সমস্ত দোয়া কবুলের আশা করি! উঃ রাসূলুল্লাহ (...

সালাম ফিরানোর পর যিকরসমূহ

ছবি
 সালাম ফিরানোর পর যিকরসমূহ    ⭕১. ৩বার  (আস্তাগফিরুল্লা-হ)      أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ আমি আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ⭕২.  اللّٰهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ  আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস্ সালা-মু তাবা-রক্তা ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম 👉অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী! #মুসলিম ১/৪১৪, নং ৫৯ 🌺৩. একবার বলবে, لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ،  লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। 👉অর্থঃ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। ⭕৪. পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির মত হয়🌺🌺🌺 প্রত্যেকটি ৩৩ বার করে বলবে, سُبْحَانَ اللّ...

ঈমান_ভঙ্গের_কারণসমূহঃ

ছবি
 কার্টেসীঃ Akhlaq-আখলাক  ঈমান_ভঙ্গের_কারণসমূহঃ রহমান, রহীম আল্লাহ নামে শুরু করছি। আমাদের দেশের অধিকাংশ মুসলিম অযু ভঙ্গের কারণ জানে কিন্তু ঈমান ভঙ্গের কারণ অধিকাংশ মুসলিম জানে না। অনেকে মনে করে, ঈমান আবার ভঙ্গ হয়ে কিভাবে? ঈমান ভঙ্গের দলীল নিম্নরূপঃ আল্লাহ বলেন-  مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالإيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ যে কেহ ঈমান আনার পরে আল্লাহর সাথে কুফরী করেছে আর যার অন্তর কুফরীর জন্য উন্মুক্ত রয়েছে তবে তাদের উপর আল্লাহর ক্রোধ, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি কিন্তু তার জন্য নয় যাকে বাধ্য করা হয়েছে আর তার অন্তর ঈমানের উপর অবিচল থাকে। (আন্-নাহল, ১৬/১০৬) উপরের আয়াত প্রমাণ করছে; কেহ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার পরও আল্লাহর সাথে কুফরী করার কারণে তার ঈমান ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে। ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ নিম্নরূপঃ ১। শির্ক করাঃ মহান আল্লাহর ইবাদতে অন্যকে শরীক করা  আল্লাহ বলেন- إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنّ...

২ মিনিট সময় হবে ত আপনার...?

ছবি
 ২ মিনিট সময় হবে ত আপনার...? আসলে, আমরা অনেক বিষয় ই জানি কিন্তু হয়তো কখনো সেই বিষয় গুলার গুরুত্ব মর্যদার প্রতি খেয়াল করা অনুভব করাটার হয়তো অনেক সময় হয়ে উঠেনা অনেক সময় সামান্য অনুভব উপলব্ধি ও জীবনের অনেক কিছু পাল্টে দিতে পারে। অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর ও এনে দিতে পারে। আজকের লিখাটা কষ্টকরে  একসাথে পড়বেন না। ষ্টেপ বাই ষ্টেপ করে পড়বেন। এবং * চিহ্ন নিয়ম গুলা একটা একটা পালন করার চেষ্টা করবেন। আসুন আস্তে আস্তে শুরু করা যাক... * প্রথমত কয়েকবার বড় বড় করে শ্বাস নিয়ে রিলেক্স হয়ে বসুন...একদম রিলেক্স....মেন্টাললি প্রস্তুতি নিন। তারপর * রিলেক্স হয়ে বসে চোখ দু'টি বন্ধ করে... সাদ্যমত লম্বা করে একটা নিশ্বাস নিন এবং না ফেলে  আটকে রাখুন। কত সেকেন্ড ধরে রাখতে পারেন, ট্রাই করুন। নিশ্বাস আটকাই রাখার একটুপর এক পর্যায়ে যখন অল্প অল্প কষ্ট হতে থাকবে আপনার ব্রেইন যখন আপনাকে বারবার ইংগিত দিতে থাকবে নিশ্বাস ফেলতে আপনি তারপরে ও সাদ্যমত নিশ্বাস না ফেল আটকে রাখার ট্রাই করুন যতক্ষন পারেন। আর যখন কষ্ট ফিল হবে তখন লন্স ডুবিতে পানির মধ্যে ডুবে যাওয়া মানুষ গুলার নিশ্বাস না নিতে পারার যন্ত্রণা কেমন ছিলো, ১টি...

গলা পর্যন্ত খাবার আর নয়।

ছবি
 🔘গলা পর্যন্ত খাবার আর নয়।  . ✍️উমার ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, ‘তোমরা পেট ভরে খাবে না। কেননা এটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে, রোগ ডেকে আনে এবং নামাজে অলসতা সৃষ্টি করে।’ . বিশিষ্ট সাহাবি আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘উদ (রা.) বলেন, ‘যে আলিম পেট ভরে খেয়ে মোটা হয়েছে, তাকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।’ . সত্যি বলতে, আমাদের ‘ইবাদাতে একাগ্রতা ও তৃপ্তি না আসার কারণগুলোর অন্যতম হলো অতিরিক্ত খাওয়া। এটি শরীরকে অলস বানিয়ে ফেলে এবং মনকে স্থবির করে রাখে। .  আমরা নিশ্চয়ই জানি : পেটকে তিন ভাগ করে এক খাবার, এক ভাগ পানি আর এক ভাগ খালি রাখাটা সুন্নাহ। তবে খেতে বসলে একেবারে গলা পর্যন্ত খেয়ে নিই। এই সুন্নাতটির উপর আমল খুবই কম হয়। . বর্তমানে হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার থেকে নিয়ে বড় বড় রোগগুলোর নিয়ন্ত্রণে খাবারে সীমাবদ্ধতা অপরিহার্য করে দেন ডাক্তারগণ। বাস্তবতা হলো, মানুষ আজকাল না খেয়ে যে পরিমাণে মারা যাচ্ছে, তার চেয়ে বহুগুণে মারা যাচ্ছে বেশি খেয়ে। . আমাদের মহান আদর্শ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাথীরা খাবারের ব্যাপারে অত্যন্ত সিরিয়াস ছিলেন। তাঁরা ভুড়িওয়ালা ছিলেন না। রাসুল...