পোস্টগুলি

কোরআনের বর্ণনায় মৃত্যুযন্ত্রণা।

ছবি
—কোরআনের বর্ণনায় মৃত্যুযন্ত্রণা। ° পার্থিব জীবনের সমাপ্তি টেনে সবাইকে পরকালীন জীবনের পথে পা বাড়াতে হবে। পার্থিব ও পরকালীন জীবনের মেলবিন্দুর নাম মৃত্যু। মৃত্যু যেমন অনিবার্য, মৃত্যুর যন্ত্রণাও অবধারিত। যদিও বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীর মৃত্যু যন্ত্রণা সমান হবে না। অবধারিত মৃত্যুযন্ত্রণার প্রতি ইঙ্গিত করে ইরশাদ হয়েছে, ‘জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে।’  ____________(সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৮৫) ° রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। নিশ্চয়ই মৃত্যুর যন্ত্রণা অনেক কঠিন। ______________’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৫১০)  ° কোরআনের বর্ণনায় মৃত্যুযন্ত্রণা পবিত্র কোরআনের চারটি আয়াতে স্পষ্টভাবে মৃত্যুযন্ত্রণার কথা বলা হয়েছে। তা হলো— ° ১. মৃত্যুযন্ত্রণা অনিবার্য : আল্লাহ বলেন, ‘মৃত্যুযন্ত্রণা সত্যই আসবে। এটা হতে তোমরা অব্যাহতি চেয়ে এসেছ।’ ____________ (সুরা কাফ, আয়াত : ১৯) ° ২. অবিশ্বাসীদের জন্য ভয়ংকর মৃত্যুযন্ত্রণা : আল্লাহ বলেন, ‘যদি তুমি দেখতে পেতে যখন অবিচারকারীরা মৃত্যুযন্ত্রণায় থাকবে এবং ফেরেশতারা হাত বাড়িয়ে বলবে, তোমাদের প্রাণ বের করো। তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে অন্যায় বলতে ও...

ভেঙে যাওয়া মানেই জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয় ভেঙে যাওয়া মানেই আরেকটা সুযোগ

ছবি
ভেঙে যাওয়া মানেই জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয় ভেঙে যাওয়া মানেই আরেকটা সুযোগ  রবকে চেনার  ও চারপাশের মানুষদের চেনার---- যারা আপনাকে ভেঙে দিয়েছে  তাদের জন্য কেন ভেঙে পরে থাকবেন... যিনি আপনাকে ভালোবাসেন কখনো ছেড়ে যান না  সেই রবের জন্য সামনে এগিয়ে যান-- চলার পথে যদি হোটচ খেয়ে পরে যান  তাহলে কোনো দ্বিধা না করে সাথে সাথেই উঠে দাঁড়াবেন  এবং নতুন পথে চলতে শুরু করবেন  শুধু এই আশায় যে-- আপনার রব আপনার পাশে আছেন,  আপনি যদি আপনার রবকে স্মরণ করেন তাহলে তিনিও আপনাকে স্মরণ করবেন...  তাই কোনো সংকোচ ছাড়াই আল্লাহর উপর  তাওয়াক্কুল করে সামনে এগিয়ে যাওয়া  এবং নতুন দিশা খোঁজা ই আপনার জন্য  কল্যাণকর.........★ ভাঙা হৃদয়কে জোড়া লাগানোর জন্য  আল্লাহই যথেষ্ট  বিকল্প কোনো জিনিস সেখানে গ্রহনযোগ্যতা  পায়না যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে আল্লাহ  তার জন্য যথেষ্ট  (সূরাঃ ত্বালাক- ০৩)                                   ~ফাহিমা~

শিক্ষামূলক_গল্প

ছবি
 #শিক্ষামূলক_গল্প: একজন বৃদ্ধা মহিলা প্রতিদিন এক মসজিদের সামনে ভিক্ষা করতো.... একদিন নামায শেষে মসজিদের ইমাম সাহেব বাইরে এসে তাকে জিজ্ঞেস করলেন,, “আপনি কেনো ভিক্ষা করেন?আপনি তো সচ্ছল পরিবারের মহিলা,,আপনার ছেলেও তো অনেক ভালো আয় করে।” মহিলা বলল,,"আপনি তো জানেন আমার স্বামী একবছর হলো মারা গেছেন,আর আমার একটাই ছেলে,,সে ৮ মাস যাবত বিদেশে...সে আমাকে টাকা দিচ্ছিল,,এরপর টাকা শেষ হয়ে গেছে...এখন আমার ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।" ইমাম বলেন," কেন? সে কি আপনাকে আর টাকা পাঠায় না? বৃদ্ধা বললেন," না, কিন্তু সে আমাকে প্রতিমাসে একটা করে ছোট রঙিন ছবি পাঠায়...যেগুলো আমি আদর করে চুমু দিয়ে ওর স্মৃতি হিসেবে দেয়ালে লাগিয়ে রেখে দেই।" ইমাম সাহেবের কাছে ব্যাপারটা অদ্ভূত লাগলো,, কী এমন ছবি!কেনো টাকা পাঠানো বাদ দিয়ে ছবি পাঠাচ্ছে? ইমাম সাহেব সিদ্ধান্ত নিলেন যে বৃদ্ধার বাসায় যাবেন। একদিন বৃদ্ধার বাড়ি গিয়ে ঘরের দেয়ালে তাকিয়ে তো ইমাম সাহেব অবাক... তিনি দেখলেন দেয়ালে লাগানো সেই রঙিন ছবিগুলো ছিল আসলে ডলারের চেক, যার প্রতিটা ছিল ১ হাজার ডলারের। কিন্তু মহিলা অশিক্ষিত হওয়ায় বুঝতে পারেনি সেগুল...

যেসব ইবাদত অন্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

ছবি
 —যেসব ইবাদত অন্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ° মহান আল্লাহ মানুষকে তাঁর ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর জিন ও মানুষকে শুধু আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।’  _____________(সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ৫৬) ° ইবাদতের মধ্যে কিছু আছে শারীরিক ইবাদত, যেমন—নামাজ ও রোজা। কিছু আছে আর্থিক ইবাদত, যেমন—হজ, জাকাত, কোরবানি ইত্যাদি। আবার কিছু ইবাদত এমন, যেগুলো অন্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কারণ মন আমাদের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নিয়ন্ত্রক। যখন মন ঠিক পরিশুদ্ধ হয়ে যায়, তখন অন্য সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও ঠিক হয়ে যায়। পাশাপাশি সেগুলোর ইবাদতও যথার্থ হতে থাকে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আর্থিক ইবাদতগুলো প্রাণ ফিরে পায়। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘জেনে রেখো, শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীরই ঠিক হয়ে যায়। আর যখন তা খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীর খারাপ হয়ে যায়। জেনে রেখো, ওই গোশতের টুকরা হলো কলব (অন্তর)।’ ________________ (বুখারি, হাদিস : ৫২) ° অতএব অন্তরের ইবাদতগুলোর মাধ্যমে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা গেলে, অন্য ইবাদত আপনা-আপনি ঠিক হয়ে যাবে। আজকে আমরা আলোচনা করব, এমন কিছু ইবাদত নিয়ে, য...

যার চরিত্র যেমন,,তার জীবন সঙ্গী ও হবে তেমন"

ছবি
 "যার চরিত্র যেমন,,তার জীবন সঙ্গী ও হবে তেমন" (সূরা নূর আয়াত ২৬) আসলেই কুরআনে কি এ আয়াত আছে,,?? মানুষের না বোঝা ভুল ও এই আয়াত নাযিল হয় কিভাবে..?? আল্লাহতালা সেই আয়াতে পবিত্র কুরআনে বলেন,, "দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য; দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য; সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য' লোকেরা যা বলে তার সাথে তারা সম্পর্কহীন; তাদের জন্য আছে ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা' __(সূরা নুর আয়াত ২৬) আমরা একমাত্র ইসলাম নিয়ে অতি উৎসাহি না বুঝার দল এ আয়াতের অনুবাদ কে নিজের মনগড়া স্টাইলে চালিয়ে দিয়েছে' আমরা বলেছি "যার চরিত্র যেমন তার জীবন সঙ্গী ও হবে তেমন" (সূরা নুর আয়াত ২৬) অনেক বড় আলেম ওলামারাই কোরআন তাফসির না ঘেটে যখন মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বানী না বুঝেই জনসম্মুখে পেশ করেন এবং সেখান থেকেই ভুলগুলি শুরু হয়েই ছড়িয়ে পরে 'মূলত এই আলেমরাই চাই সমাজে যাতে খারাপ কাজ কম হয় তাই এই মন গড়া আয়াত বলে মানুষকে ভয় দেখানো 'কিন্তু এটা যে কত বড় পাপ সেইটা আরেকদিন দেয়া যাবে" কোরআনের আয়াতকে পরিবর...

✍️🌺ইসলামে দৃষ্টিতে সেরা মানুষ কারা ✍️🌾🌺

ছবি
 ,✍️🌺ইসলামে দৃষ্টিতে সেরা মানুষ কারা ✍️🌾🌺 আমাদের চোখে সেরা মানুষের সংজ্ঞা কী?  অনেক পড়াশোনা জানা, অনেক সম্পদের অধিকারী ইত্যাদি। চলুন দেখে নিই আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসূলের (সা) চোখে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষের গুণাবলীগুলো। রাসূলের (সা) বিভিন্ন হাদীস থেকে সেরা মানুষের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আমরা জানতে পারি। হাদীসগুলো থেকে কয়েকটি নিচে তুলে ধরা হলো। 👉🌺🌾✍️১। তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা সে, যে কুরআন শিখে এবং শেখায়। (বুখারী, পর্ব: ফাজায়েলুল কুরআন, অধ্যায়: ২১ হাদীস নং: ৫০২৭) ✍️👉🌾🌺২। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী। (বুখারী, পর্ব: শিষ্টাচার, অধ্যায়: উত্তম চরিত্র, হাদীস নং: ৬০৩৫) 👉🌺🌾৩। তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা ব্যক্তি সে, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো। (বুখারী, পর্ব: উকীল নিযুক্তকরণ, অধ্যায়: ৬, হাদীস নং: ২৩০৫) 👉✍️🌺৪। তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে যার কাছ থেকে সবাই কল্যান আশা করে, অনিষ্টের আশংকা করে না। ( তিরমিজী, পর্ব: ফিতান, অধ্যায়: ৭৬, হাদীস নং: ২২৬৩/২৪৩২) 👉✍️🌺৫। তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে তার পরিবারের নিকট ভালো। (ইবনে হিব্বান, পর্ব: বিবাহ, অধ্...

দুনিয়ার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক জান্নাতে যেমন হবে

ছবি
 দুনিয়ার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক জান্নাতে যেমন হবে একজন জান্নাতি নারী জান্নাতে কাকে স্বামী হিসেবে পাবে, তা নির্ভর করবে দুনিয়ায় চলে যাওয়া তার চার অবস্থার ওপর। কারণ একজন নারী পৃথিবীতে সাধারণত ছয়টি অবস্থার যেকোনো একটি অবস্থায় অবশ্যই থাকবে। এর বাইরে নয়। অবস্থাগুলো হলো—১. হয়তো সে বিয়ের আগেই মৃত্যুবরণ করবে। ২. কিংবা সে মৃত্যুবরণ করবে তালাকের পর অন্য কারো সঙ্গে বিয়ের আগেই। ৩. কিংবা সে বিবাহিতা, কিন্তু তার স্বামী জাহান্নামি। ৪. কিংবা সে তার বিয়ের পর মারা যায়। ৫. কিংবা তার স্বামী মারা গেল আর সে আমৃত্যু বিয়ে ছাড়াই রইল। ৬. কিংবা তার স্বামী মারা গেল, তারপর সে অন্য কাউকে বিয়ে করল। আর এসবের প্রতিটির জন্যই জান্নাতে স্বতন্ত্র হুকুম ও অবস্থা আছে। বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ একজন জান্নাতি নারীর ছয়টি অবস্থা তুলে ধরা হলো— ১. বিয়ের আগেই মৃত্যুবরণকরা জান্নাতি নারী : যদি ইহকালে কোনো জান্নাতি নারীর বিয়ে না হয়ে থাকে, তবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে দুনিয়ার এমন একজন পুরুষ অথবা এমন একজন অবিবাহিত পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেবেন, যা দেখে তার চোখ জুড়িয়ে যাবে। কেননা জান্নাতের নিয়ামত ও সুখসম্ভার শুধু পুরুষের জন্য নয়, বরং তা নারী ও পুর...

★ "প্রকৃত নিঃস্ব কে ?? """"""""""""""""""""""""""""""""""""" বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,

ছবি
 ★ "প্রকৃত নিঃস্ব কে ?? """"""""""""""""""""""""""""""""""""" বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,  ----------------------------------------------- আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত,  রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন  সাহাবায়ে কেরামকে প্রশ্ন করলেন:  "তোমরা কি জান নিঃস্ব কে?  তারা বললেন :  হে আল্লাহ তা‘আলার রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমরা তো নিঃস্ব মনে করি তাকে  যার কোন অর্থকড়ি নেই এবং প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নেই।  তিঁনি বললেন :  আমার উম্মাতের মধ্যে সত্যিকার নিঃস্ব সে ব্যক্তি  যে কিয়ামতের দিন অনেক সালাত, সিয়াম, হাজ্জ ইত্যাদি নিয়ে উপস্থিত হবে  কিন্তু দুনিয়াতে সে কাউকে গালি দিয়েছিল, কারো বিরুদ্ধে অপবাদ দিয়েছিল,  কারো অর্থকড়ি অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করেছিল।  কাউকে হত্যা করেছিল এবং কাউকে প্রহার করে দুঃখ দিয়েছিল।  এসব মাজলূম সবাই আল্লাহ তা‘আলার সামনে তাদের প্রতি জুলূমের বিচার দাবী করবে।  ফ...

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, সম্মানিতা বোনেরা ❤️সকল সমস্যার সমাধান ইসলামেই আছে। আলহামদুলিল্লাহ!

ছবি
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, সম্মানিতা বোনেরা  ❤️সকল সমস্যার সমাধান ইসলামেই আছে। আলহামদুলিল্লাহ! . ✅১.অস্থির লাগছে❓ কান্না পাচ্ছে খুব? টেনশনে ভুগছেন? নিরিবিলি একটা রুমে বসে জিকির করুন, বা কোরআন তিলাওয়াত করুন, দেখবেন অন্তরে প্রশান্তি আসবে ইন-শা-আল্লাহ। . ✅২.. অনেক পাপ করে ফেলেছেন❓ এখন অপরাধ বোধে অস্থির লাগছে? কষ্ট হচ্ছে খুব? 👉তবে জেনে রাখুন ইসলামের দরজা আপনার জন্য সবসময় খোলা আছে। তওবা করুন মন থেকে। পুনরায় পাপ করে থেকে বিরত থাকুন। আল্লাহ তো বলেই দিয়েছেন,তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।" সবাই আপনাকে ছেড়ে চলে গেলেও আল্লাহ ছেড়ে যাবেন না।তিনি সবসময় তার বান্দার সাথে আছেন।💝 ✅৩.. ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত❓ চাকরি পাবেন কি পাবেন না; পরীক্ষা ভাল হবে কিনা? তাকদীরে বিশ্বাস করুন আর চেষ্টা চালিয়ে যান। আল্লাহর উপর ভরসা করুন। 👉তিনি তো বলেই দিয়েছেন, "যারা আল্লাহর উপর ভরসা করে তাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট" তাহলে চিন্তা কিসের? . ✅৪.. জীবন এলোমেলো হয়ে গিয়েছে❓ ঠিক করতে পারছেন না কিছুতেই? 💝মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করার চেষ্টা করুন।ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়া ...

শালী মারা যাওয়ার পর তার চারপাশে বসে

 শালী মারা যাওয়ার পর তার চারপাশে বসে অন্যরা কুরআন তেলোয়াৎ করছে। এমন সময় তার দুলাভাই দাবি করল: আমি আমার শ্যালিকা কে শেষ গোসলটা করাইতে চাই! এ কথা অন্য মানুষ শুনার পর ,ফতোয়া কত প্রকার কি কি সব বুঝিয়ে দিলো, দুলাভাইয়ের সব সহ্য করতে হলো! একজনে খুব গরম হয়ে বলছে: শ্যালিকাকে তো স্পর্ষ করায় জায়েজ নেই, তুই আবার গোসল করাইতে চাস??? এবার দুলাভাই বলতেছে; আমার শ্যালী যখন জীবিত ছিলো, তখন কত হাত চাপে ধরছে ৫০০ টাকার জন্য, গলা চেপে ধরছে মেলায় যাওয়ার জন্য, আমার মটর সাইকেলের পিছনে উঠার জন্য কত কি না করেছে! এসব জায়েজ ছিলো আর মরার পরেই নাজায়েজ হয়ে গেল! তাইনা?? এতদিন আপনাদের ফতোয়া কোথায় ছিলো?? অথচ, মৃত্যু অবস্থা থেকে দুনিয়ায় থাকা অবস্থায় তাকে তার দুলাভাইয়ের সামনে পর্দা করার কথা ছিলো। কতটুকু তার সীমারেখা ছিল তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে সীমা নির্ধাররণ করে দিয়েছিলেন। সূরা নূরের ৩১ নম্বারে বলেনঃ- "ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত: প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ...

স্যার আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো,

ছবি
 ভার্সিটিতে প্রথম যেদিন ক্লাস করতে যাই সেদিন স্যার একে একে সবার সাথে পরিচিত হচ্ছিলো। আমি যখন দাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় দিবো তখন স্যার আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো, - তুমি কি আই এসের সদস্য? এই ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছো জঙ্গি হামলা করার জন্য না কি? স্যারের কথা শুনে ক্লাসের সবাই হাসতে লাগলো। আমি মাথাটা নিচু করে স্যারকে বললাম, -- স্যার, আপনার কথাটা ঠিক বুঝলাম না। স্যার আবারও হাসতে হাসতে বললো, - তোমার মুখ ভর্তি দাড়ি দেখে তো এটাই মনে হলো। সেদিনের পর কেউ আমাকে আবুল বাশার বলে ডাকে না। সবাই জঙ্গি বাশার বলেই ডাকে... স্যারকে দেখতাম মাঝে মাঝেই মজার চলে আমাকে নানা রকম অপমান করতো। সেদিন স্যার আমাকে দেখিয়ে সবাইকে বললো, - বাশারের থেকে কিছু শিখো তোমরা। ৩ দিন পর পর সেভ করলে নাপিতকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিতে হয়।কিন্তু বাশারের দিতে হয় না কারণ সে দাড়ি রেখে দিয়েছে৷ একটা ভালো জিন্স প্যান্ট কিনতে গেলে ২৫০০ টাকা লাগে একটা ভালো শার্ট কিনতে গেলে ১৫০০ টাকা লাগে কিন্তু বাশারের এইসব কিছুই লাগে না। সে ৫০০ টাকা দিয়ে পাঞ্জাবি পায়জামা বানিয়ে ফেলতে পারে। তোমরা ছেলেরা সবাই খরচ কমাতে বাশারকে ফলো করো। স্যারের মুখ থেকে এইসব কথা ...

♥জুম্মার দিনের ফজিলত ও করণীয়♥

  সপ্তাহের সেরা দিন শুক্রবার তথা জুম্মার দিন। এটি পৃথীবির অন্যতম তাৎপর্যবহ দিবস। জুম্মা নামে পবিত্র কোরআনে একটি সূরা আছে। এইদিনে মহান আল্লাহতায়ালা জগৎ সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন। হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে এই দিনেই জান্নাতে একত্র করেছিলেন এবং এই দিনে মুসলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষে মসজিদে একত্র হয় বলে দিনটাকে ইয়াওমুল জুমাআ বা জুমার দিন বলা হয়।   আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আমরা শেষে এসেছি কিন্তু কেয়ামতের দিন সবার আগে থাকবো। যদিও অন্য সব জাতিগুলো কে গ্রন্থ দেওয়া হয়েছে আমাদের পূর্বে, আমাদের গ্রন্থ দেওয়া হয়েছে তাদের পরে। অত:পর জেনে রাখো এই (জুমার) দিনটি আল্লাহ আমাদের দান করেছেন। জুমার নামাজের সূচনাঃ জুমার নামাজ ফরজ হয় প্রথম হিজরিতে। রাসূলুল্লাহ (সা.) হিজরতকালে কুবাতে অবস্থান শেষে শুক্রবার দিনে মদিনা পৌঁছেন এবং বনি সালেম গোত্রের উপত্যকায় পৌঁছে জোহরের ওয়াক্ত হলে সেখানেই তিনি জুমার নামাজ আদায় করেন। এটাই ইতিহাসের প্রথম জুমার নামাজ। হিজরতের পরে জুমার নামাজ ফরজ হওয়ার আগে নবুওয়তের দ্বাদশ বর্ষে মদিন...

সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর।

ছবি
 সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর। ১. প্রশ্নঃ আমি ধনী হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অল্পতুষ্টি অবলম্বন কর; ধনী হয়ে যাবে। ২. প্রশ্নঃ আমি সবচেয়ে বড় আলেম (ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী) হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, তাক্বওয়া (আল্লাহ্ ভীরুতা) অবলম্বন কর, আলেম হয়ে যাবে। ৩. প্রশ্নঃ সম্মানী হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সৃষ্টির কাছে চাওয়া বন্ধ কর; সম্মানী হয়ে যাবে। ৪. প্রশ্নঃ ভাল মানুষ হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপকার কর। ৫. প্রশ্নঃ ন্যায়পরায়ণ হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা নিজের জন্য পছন্দ কর; তা অন্যের জন্যেও পছন্দ কর। ৬. প্রশ্নঃ শক্তিশালী হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর উপর ভরসা কর। ৭. প্রশ্নঃ আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদার অধিকরী হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ (জিকির) কর। ৮. প্রশ্নঃ রিযিকের প্রশস্ততা চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সর্বদা অযু অবস্থায় থাকো। ৯. প্রশ্নঃ আল্লাহর কাছে সমস্ত দোয়া কবুলের আশা করি! উঃ রাসূলুল্লাহ (...

সালাম ফিরানোর পর যিকরসমূহ

ছবি
 সালাম ফিরানোর পর যিকরসমূহ    ⭕১. ৩বার  (আস্তাগফিরুল্লা-হ)      أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ আমি আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ⭕২.  اللّٰهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ  আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস্ সালা-মু তাবা-রক্তা ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম 👉অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী! #মুসলিম ১/৪১৪, নং ৫৯ 🌺৩. একবার বলবে, لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ،  লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। 👉অর্থঃ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। ⭕৪. পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির মত হয়🌺🌺🌺 প্রত্যেকটি ৩৩ বার করে বলবে, سُبْحَانَ اللّ...

ঈমান_ভঙ্গের_কারণসমূহঃ

ছবি
 কার্টেসীঃ Akhlaq-আখলাক  ঈমান_ভঙ্গের_কারণসমূহঃ রহমান, রহীম আল্লাহ নামে শুরু করছি। আমাদের দেশের অধিকাংশ মুসলিম অযু ভঙ্গের কারণ জানে কিন্তু ঈমান ভঙ্গের কারণ অধিকাংশ মুসলিম জানে না। অনেকে মনে করে, ঈমান আবার ভঙ্গ হয়ে কিভাবে? ঈমান ভঙ্গের দলীল নিম্নরূপঃ আল্লাহ বলেন-  مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالإيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ যে কেহ ঈমান আনার পরে আল্লাহর সাথে কুফরী করেছে আর যার অন্তর কুফরীর জন্য উন্মুক্ত রয়েছে তবে তাদের উপর আল্লাহর ক্রোধ, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি কিন্তু তার জন্য নয় যাকে বাধ্য করা হয়েছে আর তার অন্তর ঈমানের উপর অবিচল থাকে। (আন্-নাহল, ১৬/১০৬) উপরের আয়াত প্রমাণ করছে; কেহ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার পরও আল্লাহর সাথে কুফরী করার কারণে তার ঈমান ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে। ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ নিম্নরূপঃ ১। শির্ক করাঃ মহান আল্লাহর ইবাদতে অন্যকে শরীক করা  আল্লাহ বলেন- إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنّ...

২ মিনিট সময় হবে ত আপনার...?

ছবি
 ২ মিনিট সময় হবে ত আপনার...? আসলে, আমরা অনেক বিষয় ই জানি কিন্তু হয়তো কখনো সেই বিষয় গুলার গুরুত্ব মর্যদার প্রতি খেয়াল করা অনুভব করাটার হয়তো অনেক সময় হয়ে উঠেনা অনেক সময় সামান্য অনুভব উপলব্ধি ও জীবনের অনেক কিছু পাল্টে দিতে পারে। অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর ও এনে দিতে পারে। আজকের লিখাটা কষ্টকরে  একসাথে পড়বেন না। ষ্টেপ বাই ষ্টেপ করে পড়বেন। এবং * চিহ্ন নিয়ম গুলা একটা একটা পালন করার চেষ্টা করবেন। আসুন আস্তে আস্তে শুরু করা যাক... * প্রথমত কয়েকবার বড় বড় করে শ্বাস নিয়ে রিলেক্স হয়ে বসুন...একদম রিলেক্স....মেন্টাললি প্রস্তুতি নিন। তারপর * রিলেক্স হয়ে বসে চোখ দু'টি বন্ধ করে... সাদ্যমত লম্বা করে একটা নিশ্বাস নিন এবং না ফেলে  আটকে রাখুন। কত সেকেন্ড ধরে রাখতে পারেন, ট্রাই করুন। নিশ্বাস আটকাই রাখার একটুপর এক পর্যায়ে যখন অল্প অল্প কষ্ট হতে থাকবে আপনার ব্রেইন যখন আপনাকে বারবার ইংগিত দিতে থাকবে নিশ্বাস ফেলতে আপনি তারপরে ও সাদ্যমত নিশ্বাস না ফেল আটকে রাখার ট্রাই করুন যতক্ষন পারেন। আর যখন কষ্ট ফিল হবে তখন লন্স ডুবিতে পানির মধ্যে ডুবে যাওয়া মানুষ গুলার নিশ্বাস না নিতে পারার যন্ত্রণা কেমন ছিলো, ১টি...

গলা পর্যন্ত খাবার আর নয়।

ছবি
 🔘গলা পর্যন্ত খাবার আর নয়।  . ✍️উমার ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, ‘তোমরা পেট ভরে খাবে না। কেননা এটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে, রোগ ডেকে আনে এবং নামাজে অলসতা সৃষ্টি করে।’ . বিশিষ্ট সাহাবি আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘উদ (রা.) বলেন, ‘যে আলিম পেট ভরে খেয়ে মোটা হয়েছে, তাকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।’ . সত্যি বলতে, আমাদের ‘ইবাদাতে একাগ্রতা ও তৃপ্তি না আসার কারণগুলোর অন্যতম হলো অতিরিক্ত খাওয়া। এটি শরীরকে অলস বানিয়ে ফেলে এবং মনকে স্থবির করে রাখে। .  আমরা নিশ্চয়ই জানি : পেটকে তিন ভাগ করে এক খাবার, এক ভাগ পানি আর এক ভাগ খালি রাখাটা সুন্নাহ। তবে খেতে বসলে একেবারে গলা পর্যন্ত খেয়ে নিই। এই সুন্নাতটির উপর আমল খুবই কম হয়। . বর্তমানে হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার থেকে নিয়ে বড় বড় রোগগুলোর নিয়ন্ত্রণে খাবারে সীমাবদ্ধতা অপরিহার্য করে দেন ডাক্তারগণ। বাস্তবতা হলো, মানুষ আজকাল না খেয়ে যে পরিমাণে মারা যাচ্ছে, তার চেয়ে বহুগুণে মারা যাচ্ছে বেশি খেয়ে। . আমাদের মহান আদর্শ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাথীরা খাবারের ব্যাপারে অত্যন্ত সিরিয়াস ছিলেন। তাঁরা ভুড়িওয়ালা ছিলেন না। রাসুল...

ফজরের_সালাতের_১০টি_ফজিলত:- এগুলো জানার পর কারো আর ফজর সালাতে গাফেলতি, অলসতা আসবেনা... ইনশাআল্লাহ।

ছবি
 "ফজরের_সালাতের_১০টি_ফজিলত:- এগুলো জানার পর কারো আর ফজর সালাতে গাফেলতি, অলসতা আসবেনা... ইনশাআল্লাহ। 🔘১.ফজরের সালাত মুমিন ও মুনাফিকের মধ্যে পার্থক্যকারী, কেননা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুনাফিকের জন্য ফজর সালাত আদায় কষ্টকর! __(বুখারী ৬৫৭,৬৪৪,২৪২০,৭২২৪; মুসলিম ৬৬১) 🔘২.রাসূল (সাঃ) বলেন, "যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে, সে ব্যক্তি ঐ দিন আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়। অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির দায়িত্ব নেন। __(সহিহ মুসলিম, তিরমিজি ২১৮৪) 🔘৩.রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, আল্লাহর ফেরেশতাগন আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তিকে ভালো মানুষ হিসেবে সাক্ষী দিবে। __(বুখারী-মুসলিম) 🔘৪. রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,  "যে ব্যক্তি ফজর সালাত জামাতের সাথে আদায় করে, আল্লাহ তাআলা তার আমলে দাঁড়িয়ে সারারাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন! __(সহিহ মুসলিম-১০৯৬) 🔘৫. রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ভোরে হেঁটে হেঁটে ফজরের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো দান করবেন। __(আবু দাউদ ৪৯৪)...

মউত কেমন?

ছবি
   মউত কেমন? ======= ১।   মউত   সম্পর্কে   সর্বপ্রথম  ধারণা   দিয়েছেন  হযরত আদম   আলাইহিস   সালাম।   যখন    আদম   আলাইহিস  সালামের   প্রথমপুত্র    হাবিল   বিবাহ   সংক্রান্ত     ব্যাপারে নিজভ্রাতা ক্বাবিলের  হাতে শহীদ  হলেন-   তখন হযরত আদম    (আঃ)    এ   সংবাদ   হযরত    হাওয়া    আলাইহাস সালামকে    জানালেন।     তখন    পর্য্যন্ত    মউত     সম্পর্কে হযরত  হাওয়ার  কোন   ধারণা    ছিলনা।  তিনি  জিজ্ঞাসা করলেন- وما الموت অর্থাৎ- মউত কি ও কেমন? হযরত আদম আলাইহিস সালাম  বল্লেন- لا یاکل  ولا  یشرب والا یقوم ولا یقعد অর্থাৎ “মউত হলো-  তখন  খানাপিনা  ও   উঠাবসা  বন্ধ হয়ে যায়। তখন নড়াচড়াও করতে পারেনা”। একথা শুনে হ...

আমাদের কিছু নারীবাদী ঘরানার আধুনিক মুসলিম একাডেমিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। তারা উম্মে সালামা (রা.) কে অভিহিত করেন ‘প্রথম মুসলিম নারীবাদী’ হিসেবে। হ্যা! তারা তাকে এ উপাধিই দিয়েছে- ‘প্রথম মুসলিম নারীবাদী’।

ছবি
 আমাদের কিছু নারীবাদী ঘরানার আধুনিক মুসলিম একাডেমিক ব্যক্তিত্ব  রয়েছেন। তারা উম্মে সালামা (রা.) কে অভিহিত করেন ‘প্রথম মুসলিম নারীবাদী’ হিসেবে। হ্যা! তারা তাকে এ উপাধিই দিয়েছে- ‘প্রথম মুসলিম নারীবাদী’। একটা বিষয় সুস্পষ্ট করি, আমি কোনোভাবেই থার্ড ওয়েভ ফেমিনিজমের প্রতি সহানুভূতিশীল নই। জেন্ডার রোল পুরোটাই সমাজ ঘটিত নয়। জেন্ডার রোল বায়োলজিক্যাল,  মানবীয় ও ঐতিহাসিক বাস্তবতা। এজন্য আমি এই টার্মের সাথে পুরোপুরি একমত নই। আল্লাহ নারী ও পুরুষকে যে অধিকার দিয়েছেন, সেগুলোই আমাদের চর্চা করা উচিত। যাহোক, আধুনিক মুসলিম নারীবাদীরা উম্মে সালামা (রা.) এর জীবনের বহু ঘটনা  চক্রান্তপূর্ণ উপায়ে বর্ণনা করে। এটাই আমাদের চোখ খুলে দেয়। এটাই তাদের আসল সমস্যা। তবে একইসাথে অতি রক্ষণশীল মুসলিমদেরও সমস্যা রয়েছে। পুরুষ কর্তৃক নারীর উপর জুলুম করা,  নারীদের মুখ একদম বন্ধ রাখার প্রবণতার মত বিষয়গুলো সমস্যাপূর্ণ। নারীবাদীদের দ্বারা উম্মে সালামা (রা.)  এর ঘটনাগুলোর উদ্দেশ্যমূলক  বর্ণনা প্রমাণ করে আধুনিক মুসলিম নারীবাদীরাও চরমপন্থার দিকে চলে গেছে। এভাবে চরম রক্ষণশীল ওইসলামী নারীবাদীরা একে অ...