পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ফজরের_সালাতের_১০টি_ফজিলত:- এগুলো জানার পর কারো আর ফজর সালাতে গাফেলতি, অলসতা আসবেনা... ইনশাআল্লাহ।

ছবি
 "ফজরের_সালাতের_১০টি_ফজিলত:- এগুলো জানার পর কারো আর ফজর সালাতে গাফেলতি, অলসতা আসবেনা... ইনশাআল্লাহ। 🔘১.ফজরের সালাত মুমিন ও মুনাফিকের মধ্যে পার্থক্যকারী, কেননা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুনাফিকের জন্য ফজর সালাত আদায় কষ্টকর! __(বুখারী ৬৫৭,৬৪৪,২৪২০,৭২২৪; মুসলিম ৬৬১) 🔘২.রাসূল (সাঃ) বলেন, "যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে, সে ব্যক্তি ঐ দিন আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়। অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির দায়িত্ব নেন। __(সহিহ মুসলিম, তিরমিজি ২১৮৪) 🔘৩.রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, আল্লাহর ফেরেশতাগন আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তিকে ভালো মানুষ হিসেবে সাক্ষী দিবে। __(বুখারী-মুসলিম) 🔘৪. রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,  "যে ব্যক্তি ফজর সালাত জামাতের সাথে আদায় করে, আল্লাহ তাআলা তার আমলে দাঁড়িয়ে সারারাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন! __(সহিহ মুসলিম-১০৯৬) 🔘৫. রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ভোরে হেঁটে হেঁটে ফজরের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো দান করবেন। __(আবু দাউদ ৪৯৪)...

মউত কেমন?

ছবি
   মউত কেমন? ======= ১।   মউত   সম্পর্কে   সর্বপ্রথম  ধারণা   দিয়েছেন  হযরত আদম   আলাইহিস   সালাম।   যখন    আদম   আলাইহিস  সালামের   প্রথমপুত্র    হাবিল   বিবাহ   সংক্রান্ত     ব্যাপারে নিজভ্রাতা ক্বাবিলের  হাতে শহীদ  হলেন-   তখন হযরত আদম    (আঃ)    এ   সংবাদ   হযরত    হাওয়া    আলাইহাস সালামকে    জানালেন।     তখন    পর্য্যন্ত    মউত     সম্পর্কে হযরত  হাওয়ার  কোন   ধারণা    ছিলনা।  তিনি  জিজ্ঞাসা করলেন- وما الموت অর্থাৎ- মউত কি ও কেমন? হযরত আদম আলাইহিস সালাম  বল্লেন- لا یاکل  ولا  یشرب والا یقوم ولا یقعد অর্থাৎ “মউত হলো-  তখন  খানাপিনা  ও   উঠাবসা  বন্ধ হয়ে যায়। তখন নড়াচড়াও করতে পারেনা”। একথা শুনে হ...

আমাদের কিছু নারীবাদী ঘরানার আধুনিক মুসলিম একাডেমিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। তারা উম্মে সালামা (রা.) কে অভিহিত করেন ‘প্রথম মুসলিম নারীবাদী’ হিসেবে। হ্যা! তারা তাকে এ উপাধিই দিয়েছে- ‘প্রথম মুসলিম নারীবাদী’।

ছবি
 আমাদের কিছু নারীবাদী ঘরানার আধুনিক মুসলিম একাডেমিক ব্যক্তিত্ব  রয়েছেন। তারা উম্মে সালামা (রা.) কে অভিহিত করেন ‘প্রথম মুসলিম নারীবাদী’ হিসেবে। হ্যা! তারা তাকে এ উপাধিই দিয়েছে- ‘প্রথম মুসলিম নারীবাদী’। একটা বিষয় সুস্পষ্ট করি, আমি কোনোভাবেই থার্ড ওয়েভ ফেমিনিজমের প্রতি সহানুভূতিশীল নই। জেন্ডার রোল পুরোটাই সমাজ ঘটিত নয়। জেন্ডার রোল বায়োলজিক্যাল,  মানবীয় ও ঐতিহাসিক বাস্তবতা। এজন্য আমি এই টার্মের সাথে পুরোপুরি একমত নই। আল্লাহ নারী ও পুরুষকে যে অধিকার দিয়েছেন, সেগুলোই আমাদের চর্চা করা উচিত। যাহোক, আধুনিক মুসলিম নারীবাদীরা উম্মে সালামা (রা.) এর জীবনের বহু ঘটনা  চক্রান্তপূর্ণ উপায়ে বর্ণনা করে। এটাই আমাদের চোখ খুলে দেয়। এটাই তাদের আসল সমস্যা। তবে একইসাথে অতি রক্ষণশীল মুসলিমদেরও সমস্যা রয়েছে। পুরুষ কর্তৃক নারীর উপর জুলুম করা,  নারীদের মুখ একদম বন্ধ রাখার প্রবণতার মত বিষয়গুলো সমস্যাপূর্ণ। নারীবাদীদের দ্বারা উম্মে সালামা (রা.)  এর ঘটনাগুলোর উদ্দেশ্যমূলক  বর্ণনা প্রমাণ করে আধুনিক মুসলিম নারীবাদীরাও চরমপন্থার দিকে চলে গেছে। এভাবে চরম রক্ষণশীল ওইসলামী নারীবাদীরা একে অ...

মানুষ প্রতিদিন ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় বহু গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায়। এর মধ্যে কিছু কবিরা গুনাহ, আবার কিছু সগিরা গুনাহ। কবিরা গুনাহ আবার দুই ধরনের, কিছু গুনাহ আল্লাহর হক বিনষ্ট করার কারণে হয়, আর কিছু হয় বান্দার হক নষ্ট করার কারণে। নিম্নে সব ধরনের গুনাহ থেকে ক্ষমা লাভের উপায় তুলে ধরা হলো—

ছবি
 জীবন যেভাবে পাপমুক্ত হয়। মানুষ প্রতিদিন ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় বহু গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায়। এর মধ্যে কিছু কবিরা গুনাহ, আবার কিছু সগিরা গুনাহ। কবিরা গুনাহ আবার দুই ধরনের, কিছু গুনাহ আল্লাহর হক বিনষ্ট করার কারণে হয়, আর কিছু হয় বান্দার হক নষ্ট করার কারণে। নিম্নে সব ধরনের গুনাহ থেকে ক্ষমা লাভের উপায় তুলে ধরা হলো— তাওবাঃ- আল্লাহর হক বিনষ্ট করার কারণে যে গুনাহ হয়, বিশুদ্ধ অন্তরে তাওবা করলে মহান আল্লাহ সেই গুনাহগুলো মাফ করে দেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে বিশ্বাসীরা, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা করো—বিশুদ্ধ তাওবা। সম্ভবত তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কর্ম মোচন করে দেবেন এবং তোমাদের প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত।’  (সুরা তাহরিম, আয়াত : ৮) আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘গুনাহ থেকে তাওবাকারী নিষ্পাপ ব্যক্তিতুল্য।’   (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২৫০) কারো হক নষ্ট করলে তার সঙ্গে সুরাহা করে নেওয়াঃ- যেসব গুনাহ বান্দার হকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, বান্দার সঙ্গে সেই বিষয়ে সুরাহা না করা পর্যন্ত মহান আল্লাহ সে পাপ ক্ষমা করবেন না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (...

আল কোরআনের ১১৪ সূরার ১০০০ আয়াত, তাফসিরে ইবনে কাছির, সিহাহ সিত্তাহ ও বিবিধ হাদিসে হানাফী মাযহাবের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ (পর্ব-২৬৭)

ছবি
 আল কোরআনের ১১৪ সূরার ১০০০ আয়াত, তাফসিরে ইবনে কাছির, সিহাহ সিত্তাহ ও বিবিধ হাদিসে হানাফী মাযহাবের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ (পর্ব-২৬৭) সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ১৫ নং আয়াতের অনুবাদ- ১৫। হে আহলে কিতাব! তোমাদের কাছে আমার রাসূল এসেছেন, তিনি প্রকাশ করে দিবেন কিতাবের বেশির ভাগ অংশ যা তোমরা গোপন করেছিলে। আর অনেক কিছু তিনি এড়িয়ে যাবেন। তোমাদের নিকট আল্লাহর নিকট থেকে নূর এসেছে এবং স্পষ্ট কিতাব। সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ১৫ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির ১৫। আল্লাহ তা’আলা তাঁর উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন রাসূল মুহাম্মদকে (সা.) হেদায়াত ও দ্বীনে হক সহ সব মাখলুকের কাছে প্রেরণ করেছেন। ইহুদী ও খ্রিস্টান তাদের ধারণার প্রতিকুল কিতাবের যে সব কথা গোপন করে ছিল রাসূল (সা.) সেসব কথা প্রকাশ করে দিবেন। তবে যে সব বিষয় আর প্রকাশ করার দরকার নেই, সেসব বিষয়ে রাসূল (সা.) নিরব থাকবেন। * আহলে কিতাব আল্লাহর কিতাব মূখস্ত না করায় তাদের দুষ্ট লোকেরা তাদের অপছন্দের অনেক বিষয় বেমালুম গোপন করে ফেলে। পারলে একালের লোকেরাও কোরআনের অনেক বিষয় গোপন করে ফেলতো। কিন্তু তারা তা পারেনি কারণ এখন কোরআন অসংখ্য লোকের মুখস্ত। শিয়ারা হযরত আলীর (রা.) সংক্রান...

আল কোরআনের ১১৪ সূরার ১০০০ আয়াত, তাফসিরে ইবনে কাছির, সিহাহ সিত্তাহ ও বিবিধ হাদিসে হানাফী মাযহাবের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ

ছবি
আল কোরআনের ১১৪ সূরার ১০০০ আয়াত, তাফসিরে ইবনে কাছির, সিহাহ সিত্তাহ ও বিবিধ হাদিসে হানাফী মাযহাবের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ  সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ১৬ নং আয়াতের অনুবাদ- ১৬। এর (কোরআন) মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা যারা সন্তুষ্ট চিত্তে তাঁর আনুগত্য করে তাদেরকে শান্তির পথে হেদায়াত প্রদান করেন। এরপর তিনি তাঁর (নিজের) অনুমতিক্রমে তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে বের করে আনেন। আর তিনি তাদেরকে সিরাতাম মুসতাকিমে হেদায়াত প্রদান করেন। সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ১৬ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির ১৬।কোরআন বিভ্রান্তি দূরকারী ও হেদায়াত প্রদানকারী কিতাব। সহিহ মুসলিম, ৪২৭ নং হাদিসের (পবিত্রতা অধ্যায়) অনুবাদ- ৪২৭। হযরত আবু মালেক আর-আশ’আরী (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ওজন দন্ডের পরিমাপকে পরিপূর্ণ করে এবং ‘সুবহানাল্লাহ ওযাল হামদুলিল্লাহ’ আসমান জমিনের মধ্যবর্তী স্থানকে পূর্ণ করে দেবে। ‘সালাত বা নামাজ’ হলো একটি উজ্জল জ্যোতি। ‘সদকা’ হচ্ছে নিদর্শন। ‘সবর’ হচ্ছে জ্যোতির্ময়। আর ‘আল – কোরআন’ হচ্ছে তোমার পক্ষে অথবা বিপক্ষে দলিল স্বরূপ। মূলত সকল মানুষ প্রত্যেক সকালে নিজ...

পানি পান করাটাও ইবাদতে পরিণত হবে যদি সুন্নাহ নিয়তে আপনি সেই রুলস অনুযায়ী পান করেন। হাদীসে পানি পানের ৬টি সুন্নাহ বর্ণিত আছে। চেক করে নিন তো,আপনি পানি পান করার সময় সব সুন্নাহ ফলো করেন কিনা..... .

ছবি
 পানি পান করাটাও ইবাদতে পরিণত হবে যদি সুন্নাহ নিয়তে আপনি সেই রুলস অনুযায়ী পান করেন। হাদীসে পানি পানের ৬টি সুন্নাহ বর্ণিত আছে। চেক করে নিন তো,আপনি পানি পান করার সময় সব সুন্নাহ ফলো করেন কিনা..... . (1)ডান হাতে পানি পান করা। (2)পান করার পূর্বে পানি দেখে নেয়া। (3)বিসমিল্লাহ্ বলে শুরু করা। (4)বসে পানি পান করা। (5) ৩ ধাপে(ঢোকে) পানি পান করা। (6) আলহামদুলিল্লাহ্‌ বলে শেষ করা। . (হাদীসগুলা পাবেন মুসলিম হাঃ নং ২০২০,মুসলিম হাঃ নং ২০২৪,বুখারী শরীফ হাঃ নং ৫৬২৬,তাবরানী আওসাতা হাঃ নং ৬৪৫২) ~~~~~~~~~~~~~ এবার আসি এই সুন্নাহগুলার সায়েন্টিফিক কিছু ব্যাপার নিয়ে.... যদিও একজন মুমিন কখনো ইবাদতের মধ্যে এসব সায়েন্টিফিক ব্যাপার সেপার খুঁজতে যায় না,তবুও দিলাম তাদের জন্য যারা সুন্নাহকে প্রাণ নিয়ে পালন করতে চায় না... . ৪নং রুলস(সুন্নাহ) এর কথাই আসিঃ বসে পানি পান করা.... এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে পানি পানের ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়ে মেডিকেল কি বলে দেখুনঃ ১. যখন আপনি দাঁড়িয়ে পানি পান করেন তখন পানি সরাসরি আপনার পাকস্থলিতে চলে যায়। তারপর খুব দ্রুতই প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এর মাধ্যমে আপনার কিডনির ক্ষতি হতে পারে। ২...

হতাশ হবেন না!

ছবি
 হতাশ হবেন না! আপনার রব সবই জানেন, তিনি সবই দেখছেন। আল্লাহ্ জানেন, আপনি যখন প্রতিদানের আশা ছাড়া অন্যের উপকার করেন। আল্লাহ্ জানেন, যখন পৃথিবীর সবাই গভীর নিদ্রায় মগ্ন আর আপনি নির্জনে আল্লাহর ইবাদাতে, সালাতের সিজদায় রত থাকেন।   তিনি জানেন, যখন আপনি রূঢ় বা অপমানজনক ব্যবহারের পরিবর্তে আপনার জিহ্বাকে সংযত করেন! তিনি জানেন, আপনি আপনার পিতামাতাকে সন্তুষ্ট রাখতে তর্ক এড়িয়ে যান, যদিও আপনি জানেন আপনিই ঠিক ছিলেন। তিনিই জানেন, যখন আপনি শত্রুদের বদদুয়া করার পরিবর্তনে তাদের হিদায়াতের জন্য দোয়া করেন। আপনার রব সেটাও জানেন যখন আপনি সূক্ষ্ম ভালো কাজ করেন শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যদিও আপনি নিজেই তা ভুলে যান কিন্তু আপনার রব কখনো ভুলে যান না। আমরা সবাই সংগ্রাম করে যাচ্ছি, যা আল্লাহ্ ছাড়া কেউই জানে না। স্মরণ করুন, তিনি সবই জানেন এবং তিনিই সাহায্য করতে পারেন সবকিছুতেই।  আমাদের এমন কোন বেদনা নেই, যা তিনি বুঝেন না। এমন কোন সংগ্রাম নেই, যা আল্লাহ্ জানেন না। এমন কোন কান্না নেই, যেটা আমাদের রব উপেক্ষা করেন। এটা কি করে সম্ভব যে সবাই আপনাকে বুঝবে?  আপনি যে পথে চলেন সবাই কি একই পথেই চলে?আল্লাহ...