পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নামাজের সিজদায় যে দোয়া পড়া উত্তম

ছবি
 💙নামাজের সিজদায় যে দোয়া পড়া উত্তম💙 দুনিয়াতে সবচেয়ে উত্তম ইবাদত নামাজ। নামাজের মধ্যে বান্দার যে জিনিসটি আল্লাহ তাআলার পছন্দনীয় তা হচ্ছে সিজদা। আর সিজদায় রয়েছে আল্লাহ তাআলার কিছু প্রশাংসামূলক বাক্য। যার পঠনে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি সহজেই পাওয়া যায়। সিজদায় পঠিত দোয়া জাগো নিউজে তুলে ধরা হলো- ১. سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى উচ্চারণ : সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা।অর্থ : “আমার রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি, যিনি সবার উপরে।” (মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ) ২. سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي উচ্চারণ : সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগফির লী। (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)অর্থ : “হে আল্লাহ! আমাদের রব্ব! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।” ৩. اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقوبَتِكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ، لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ، أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَউচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু...

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

 আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দুনিয়া মু’মিনের জন্য কয়েদখানা এবং কাফিরের জন্য জান্নাততুল্য। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭৩০৭ জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আলিয়াহ্ অঞ্চল থেকে মাদীনায় আসার পথে এক বাজার দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। এ সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উভয় পাশে বেশ লোকজন ছিল। যেতে যেতে তিনি ক্ষুদ্র কান বিশিষ্ট একটি মৃত বকরীর বাচ্চার পাশ দিয়ে যেতে তার কাছে গিয়ে এর কান ধরে বললেন, তোমাদের কেউ কি এক দিরহাম দিয়ে এটা ক্রয় করতে আগ্রহী। তখন উপস্থিত লোকেরা বললেন, কোন কিছুর বদৌলতে আমরা এটা নিতে আগ্রহী নই এবং এটি নিয়ে আমরা কি করব? তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বিনা পয়সায় তোমরা কি সেটা নিতে আগ্রহী? তারা বললেন, এ যদি জীবিত হত তবুও তো এটা দোষী। কেননা এর কান হচ্ছে ছোট ছোট। আর এখন তো সেটা মৃত, আমরা কিভাবে তা গ্রহণ করব? অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! এ তোমাদের কাছে যতটা নগণ্য, আল্লাহর কাছে দুনিয়া এর তুলনায় আরও বেশি নগণ্য...

◾◾জান্নাত পাওয়ার সহজ ৬ টি আমল◾◾ [নিয়মিত নিজে আমল করুন,সন্তানদের শিক্ষা দিন]

ছবি
 ◾◾জান্নাত পাওয়ার সহজ ৬ টি আমল◾◾ [নিয়মিত নিজে আমল করুন,সন্তানদের শিক্ষা দিন] 🔘১. প্রতিবার ওযূর পর "কালিমা শাহাদাত" পড়া। এতে জান্নাতের ৮ টি দরজার যে কোনোটি দিয়ে আমলকারীকে প্রবেশ করতে বলা হবে।  ____(নাসাঈ-১৪৮, তিরমিযী-৫৫, ইবনু মাজাহ-৪৭০)  ▪️উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।  🔘২. প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় একবার করে "সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার" পড়া। সকালে পড়ে সন্ধ্যার আগে মারা গেলে অথবা সন্ধ্যায় পড়ে রাতের মধ্যে মারা গেলে সে জান্নাতি হিসাবে গণ্য হবে।  ____(বুখারী-৬৩০৬, তিরমিযী-৩৩৯৩, মিশকাত-২৩৩৫)  ▪️উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ'বদুকা ওয়া আনা আ'লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ'উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি'মাতিকা আ'লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগ্ফির্লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা।  🔘৩. প্রতিবার ফরয সালাতের পর একবার "আয়াতুল কুরসি" পড়া। নিয়মিত আমল করলে আমলকারী ও জান্নাতের মধ্যে পার্থক্য থাক...

–আমানত রক্ষা করা ঈমানী দায়িত্ব, খেয়ানতকারীর জন্য ভয়ঙ্কর শাস্তি।

ছবি
 –আমানত রক্ষা করা ঈমানী দায়িত্ব, খেয়ানতকারীর জন্য ভয়ঙ্কর শাস্তি। • আমানত আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে কোনো জিনিস গচ্ছিত রাখা, নিরাপদ রাখা, প্রশান্ত হওয়া। আমানতের বিপরীত অর্থ খেয়ানত করা। পরিভাষায় কারও কাছে কোনো অর্থ-সম্পদ, বস্তুসামগ্রী গচ্ছিত রাখাকে আমানত বলা হয়।  • যিনি গচ্ছিত বস্তুকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে সংরক্ষণ করেন, যথাযথভাবে হেফাজত করেন এবং মালিক চাওয়ামাত্রই কোনো টালবাহানা ছাড়া ফেরত দেন, তাকে আল আমিন তথা বিশ্বস্ত সত্যবাদী বা আমানতদার বলা হয়। (আল মুজামুল ওয়াসিত : ২৭-২৮)।  • আমানতের প্রচলন জীবনের সর্বক্ষেত্রেই দেখা যায়। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিটি স্তরে প্রতিটি বিষয়ে আমানত রক্ষা করা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লেনদেনের আমানত, কথার আমানত যেসব বিষয় প্রকাশিত হলে বা যেসব কথা বললে পারস্পরিক সম্পর্ক অবনতি ঘটবে, মনোমালিন্য ও সংঘাত সৃষ্টি হবে, এমন বিষয় প্রকাশ না করা এবং না বলাও আমানত। সর্বক্ষেত্রে আমানত রক্ষা করা একজন মোমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য। • ⛔ আমানত রক্ষায় রাসূল (সা.):- পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি আমানত ও অঙ্গীকারের প্রতি যত্ন...
ছবি
 [Sunnah & Science : 071] মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) স্রষ্টা আল্লাহর প্রতি‌নি‌ধি না হ‌লে, ১৪৪০+ বছর আ‌গে কিভা‌বে ই‌ঙ্গিত দি‌তে পা‌রেন, লম্বা দাঁতওয়‌ালা প্রাণীর মাংস খাওয়া মানব প্রজা‌তির জন‌্য ক্ষ‌তিকারক, যা আজ‌কের বিজ্ঞান প্রমান ক‌রে‌ছে ? হা‌দিসঃ আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: «كُلُّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ، فَأَكْلُهُ حَرَامٌ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ “লম্বা দন্ত বিশিষ্ট সকল হিংস্র পশুর গোশত খাওয়া হারাম।”  (সহীহ মুসলিম : ১৯৩৩) যদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা দ্বারা কোন প্রাণীর গোস্ত খাওয়া ক্ষতিকর প্রমাণিত হয় তাহলে তা খাওয়া হারাম। চাই তা সামুদ্রিক হোক অথবা স্থলচর হোক। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন: وَلَا تَقْتُلُوا أَنفُسَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّـهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا “আর তোমরা নিজেদেনরকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।”  (সূরা নিসা : ২৯) তিনি আরও বলেন: وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ ۛ “তোমরা নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না।”  (সূরা বাকারা : ১৯৫) প্রকৃ‌তি কি বল‌ছেঃ পাপুয়া নিউগিনি...

কি করলে স্বামী স্ত্রীররে কল্যাণ হয়

ছবি
 স্বামী-স্ত্রীর জন্য কল্যাণ ও বরকতের দু'আঃ যারা ওয়ালীমায় অংশ গ্রহণ করবে অথবা বিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্হিত হবে কিংবা বিবাহের সংবাদ শুনবে, তারা বর ও কনের জন্য দু'আ করবে। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, আমার আব্বা ৭জন বা ৯ জন কন্যা রেখে মৃত্যুবরণ করলেন। আমি একজন বিধবা মহিলাকে বিবাহ করলাম। আমাকে রাসূল (সাঃ) বললেন,'হে জাবির! তুমি কি বিয়ে করেছ? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, কুমারী না বিধবা? আমি বললাম, "বিধবা"। তিনি বললেন, যদি তুমি কুমারী বিবাহ করতে তাহ'লে তুমি তাকে নিয়ে খেলতে আর সেও তোমাকে নিয়ে খেলত। তুমি তাকে হাসাতে, সেও তোমাকে হাসাত (তবে কতই না ভাল হ'ত)। আমি তাকে বললাম, নিশ্চয় আব্দুল্লাহ্ মারা গেছেন এবং নয় বা সাত জন মেয়ে রেখে গেছেন। আমি অপছন্দ করলাম তাদের মত কাউকে ঘরে আনতে। সেজন্য এমন একজন মেয়েকে বিবাহ করলাম যে তাদের দেখাশুনা করতে পারে। তখন রাসূল (সাঃ) বললেন, আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুন অথবা তিনি আমার জন্য কল্যাণের দু'আ করলেন' (বুখারী, হা/৫৩৬৩; মুসলিম, হা/৩৭১১,(৭১৫)-৫৬; মিশকাত, হা/৩০৮৮,৩২১০;)। বুরাইদাহ্ (রাঃ) বলেন, আনছারদের একটি দল আলী (রাঃ) কে বলল, তোমার স...

স্বপ্নের জান্নাত

ছবি
 স্বপ্নের জান্নাত জান্নাতের কিছু বর্ননাঃ ‘‘জান্নাত” ... ১. জান্নাতের ১০০টি স্তর রয়েছে। প্রতি দুই স্তরের মাঝে আসমান-জমিনের সমান ব্যবধান বর্তমান। ফিরদাওস হচ্ছে সবচেয়ে উঁচু স্তরের জান্নাত, সেখান থেকেই জান্নাতের চারটি ঝর্ণা প্রবাহিত হয় এবং এর উপরেই (আল্লাহ তাআলার) আরশ স্থাপিত। নবী (সাঃ) বলেছেন, ‘‘তোমরা আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করার সময় ফিরদাওসের প্রার্থনা করবে।’’ (তিরমিজি ২৫৩১) . ২. জান্নাতে রয়েছে নির্মল পানির সমুদ্র, মধুর সমুদ্র, দুধের সমুদ্র এবং মদের সমুদ্র। এগুলো থেকে আরো ঝর্ণা বা নদী-সমূহ প্রবাহিত হবে। (তিরমিজি ২৫৭১) জান্নাতের এই মদে জ্ঞান শূন্য হয় না, কোনো মাথা ব্যথায়ও ধরে না। (সূরা আল-ওয়াকিআ ১৯) . ৩. জান্নাতবাসীনী কোনো নারী যদি পৃথিবীর দিকে উঁকি দেয়, তবে গোটা জগত আলোকিত হয়ে যাবে এবং আসমান-জমিনের মধ্যবর্তী স্থান সুগন্ধিতে মোহিত হয়ে যাবে। তাদের মাথার ওড়নাও গোটা দুনিয়া ও তার সম্পদরাশি থেকে উত্তম। (বুখারী ৬৫৬৮) . ৪. জান্নাতে কারো ধনুক অথবা কারো পা রাখার স্থান দুনিয়া ও তাতে যা আছে, তা থেকেও উত্তম। (বুখারী ৬৫৬৮) . ৫. জান্নাতের একটি গাছের নিচের ছায়ায় কোনো সওয়ারী যদি ১০০ বছরও সওয়ার ক...

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ছবি
 আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দুরূদ পাঠ করে, আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি দশটি রাহমাত বর্ষণ করেন।  -সহীহ্‌। সহীহ্‌ আবূ দাঊদ- (১৩৬৯), মুসলিম। ফুটনোটঃ এ অনুচ্ছেদে ‘আবদুর রহমান ইবনু আওফ, ‘আমির ইবনু রবী’আ, ‘আম্মার, আবূ তালহা, আনাস ও উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ হুরাইরার হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। সুফিয়ান সাওরী ও অপরাপর মনীষী বলেছেন, প্রতিপালক প্রভুর পক্ষ হতে ‘সালাত’ শব্দের অর্থ ‘রাহমাত’ এবং ফেরেশতাদের পক্ষ হতে ‘সালাতের’ অর্থ ‘ক্ষমা প্রার্থনা’।  জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৪৮৫ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।

ঈমানের অন্যতম একটি অংশ হচ্ছে নবী করীম (সা.)-কে ভালোবাসা।

ছবি
 ঈমানের অন্যতম একটি অংশ হচ্ছে নবী করীম (সা.)-কে ভালোবাসা।   আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউই ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ আমি তার কাছে তার সন্তান সন্ততি ও অন্যদের চেয়ে বেশী প্রিয় না হবো।  [সহীহ্ আল বুখারী, ঈমান অধ্যায়, হাদিস-১৫; সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, হাদীস-৭৫]  আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আরেক হাদীসে আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি গুণ যার মধ্যে বিদ্যমান, সে ঈমানের প্রকৃত সা’দ পায় । (১) যে কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কাউকে ভালবাসে,  (২) যার কাছে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অন্য সবকিছু থেকে অধিক প্রিয় এবং  (৩) যাকে আল্লাহ কুফর থেকে নাজাত দিয়েছেন; তারপর সে কুফরের দিকে ফিরে যাওয়া থেকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে অধিক পছন্দ করে।  [সহীহ্ আল বুখারী, ঈমান অধ্যায়, হাদিস-১৬; সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, হাদীস-৭২] আরেক হাদীসে বলা হয়েছে-  ‘এক ব্যক্তি নবী করীম (সা.)-এর কাছে এলেন। বললেন- হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামত কবে হবে? রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বললেন, তু...

👉আব্দুল্লাহ ইবনে আম্‌র ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত

ছবি
👉আব্দুল্লাহ ইবনে আম্‌র ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল, ‘সর্বোত্তম ইসলামী কাজ কী?’ তিনি বললেন, “(ক্ষুধার্তকে) অন্নদান করবে এবং পরিচিত-অপরিচিত নির্বিশেষে সকলকে (ব্যাপকভাবে) সালাম পেশ করবে।’’ ফুটনোটঃ (সহীহুল বুখারী ১২, ২৮, ৬২৩৬, মুসলিম ৩৯, তিরমিযী ১৮৫৫, নাসায়ী ৫০০০, আবূ দাউদ ৫১৯৪, ইবনু মাজাহ ৩২৫৩, ৩৬৯৪, আহমাদ ৬৫৪৫, ৬৮০৯, দারেমী ২০৮১)  রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ৮৪৯ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস  

মৃত্যু বিন বলাইয়া মেহমান

ছবি
মৃত্যু। আমাদের সবার কাছেই অনাকাঙ্খিত, অপছন্দনীয় একটি বিষয়। মৃত্যু জীবনের স্বাদ নষ্টকারী। সুখশান্তি ভঙ্গকারী।  . কিন্তু একজন মুমিনের জন্য মৃত্যু ভিন্ন এক অর্থ বহন করে। মৃত্যু তো তার জন্য নতুন জীবনের দুয়ার। প্রকৃতপক্ষে মৃত্যুই হচ্ছে জীবন। মৃত্যু তো মুমিনকে পৌঁছে দেয় রব্বের সান্নিধ্যে, পৌঁছে দেয় সেই জীবনে যে জীবনের কোন শেষ নেই! আসুন দেখে নিই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি বলেছেন এই বিষয়ে।  . আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনিল আস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "মুমিনের জন্য উপহার হলো মৃত্যু।" . (হাকিম, মুসতাদরাক, ৪/৩১৫) . . 📚সূত্র: 📘 মুমিনের পাথেয়.  

Abdul Hi Muhammad saifullah

 গাড়ীর গেটে বাবা বোগদাদীর নাম! মহাস্থানে একমন খিরের সিন্নি! আজমিরের লালসাদা সুতার কবজ! এগুলো কেনো দেয়? একজনেরও খারাপ নিয়ত নেই! শুধু একটু বুঝে নিলেই হিসাব সহজ!

(শিরোনামটি ফেরিওয়ালাদের মত টান দিয়ে পড়বেন

 []~ফিতনা লাগবে... ফিতনা.... (শিরোনামটি ফেরিওয়ালাদের মত টান দিয়ে পড়বেন) ▪️চারিদিক ফিতনায় ভরা। অর্থের ফিতনা। অনর্থের ফিতনা। নারীর ফিতনা। পুরুষের ফিতনা। সন্তানের ফিতনা। সম্মানের ফিতনা। সম্পদের ফিতনা। খ্যাতির ফিতনা। ক্ষতির ফিতনা। গানের ফিতনা। দ্বীনদারির ফিতনা।  . ▪️হরেক রকমের হরেক রঙের ফিতনা আমাদেরকে চারিপাশ দিয়ে ঘিরে রেখেছে। একটা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে আরো দশটা এসে বলে, " যাও কই? এদিকে আসো একটু।" একটু আসতে গিয়ে আর ফেরত আসা হয় না। ডুবে যায় নতুন ফেতনায়।  ▪️ফিতনারা ক্ষণে ক্ষণে রং পাল্টায়। পাল্টায় আহবানের সুর। সেই রং দেখে আর সেই সুর শুনে কত ছেলে-মেয়ে যে আজ ফিতনায় হাবুডুবু খাচ্ছে সে খবর কে রাখে! এসব ফিতনার খবর শুধু মনের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রতি মুহুর্তে প্রকাশিত থাকে। পত্রিকার পাতায় কিংবা টিভির নিউজে তখনি আসে যখন ফিতনার কাছে হেরে কেউ নিজেকে ধ্বংস করে ফেলে। আত্মহত্যা করে কিংবা মহাদুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে।  ▪️প্রতিটি মানুষ ফিতনার মধ্যে নিমজ্জিত। একেকজনের জন্য একেক ফিতনা, একেক রুপ। আপনার ছেলে, মেয়ে, ভাই, বোন, কাজিন, বন্ধু, ক্লাসমেট, কলিগ সবাই। কেউ আপনাকে বলে কেউ বলে না। কিন্তু ...

রাগ মানুষকে ডাংশো করে

 ইমাম সুয়ুতি রাহিমাহুল্লাহর চমৎকার উপদেশ বাচ্চাদের মধ্যে এমন পাঁচটি স্বভাব আছে, যদি সেগুলো একজন মানুষের মধ্যে থাকে তবে সে আল্লাহর নৈকট্যশীল বান্দায় পরিণত হবে :  এক. জীবিকা নিয়ে নির্ভাবনা। [শুধুমাত্র জীবিকা আর ক্যারিয়ারের পেছনে ছুটতে ছুটতে কত মানুষ আল্লাহর কথা ভুলে গেছে! সালাত ছেড়ে দিয়েছে! আখিরাত নিয়ে তাদের মনে বিন্দুমাত্র ভীতি কাজ করে না। অথচ হাদিসের ভাষ্য- আর রিজকু মাকসুমুন তথা রিজিক পূর্ব নির্ধারিত।]  দুই. অসুস্থ হলে স্রষ্টার বিরুদ্ধে অভিযোগ-অনুযোগ না করা। [সুস্থ থাকাবস্থায় আল্লাহর কথা স্মরণ হয় না আমাদের। আর যখন অসুস্থ হই, তখন অভিযোগ আনি 'এতো মানুষের মধ্যে আল্লাহ আর কাউরে পাইলেন না বুঝি! আমার জীবনে এতো দুঃখ কেন?']  তিন. একত্রে খাবার খাওয়া এবং একা খেতে না চাওয়া।  [মুসলিমদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরিতে এর অনেকখানি প্রভাব আছে। যারা কখনো একসাথে বসে কিংবা এক প্লেটে খাবার খেয়েছেন, তাদের মধ্যে মনের অজান্তেই আন্তরিকতার সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি হয়েছে। এছাড়াও এতে অভাবী মানুষের প্রতি সহমর্মিতাবোধের শিক্ষা পাওয়া যায়।]  চার. ভয় পাওয়া মাত্রই চোখে পানি চলে আসা। [জা...
◾◾জান্নাত পাওয়ার সহজ ৬ টি আমল◾◾ [নিয়মিত নিজে আমল করুন,সন্তানদের শিক্ষা দিন] ================================== 🔘১. প্রতিবার ওযূর পর "কালিমা শাহাদাত" পড়া। এতে জান্নাতের ৮ টি দরজার যে কোনোটি দিয়ে আমলকারীকে প্রবেশ করতে বলা হবে।  ____(নাসাঈ-১৪৮, তিরমিযী-৫৫, ইবনু মাজাহ-৪৭০)  ▪️উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।  🔘২. প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় একবার করে "সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার" পড়া। সকালে পড়ে সন্ধ্যার আগে মারা গেলে অথবা সন্ধ্যায় পড়ে রাতের মধ্যে মারা গেলে সে জান্নাতি হিসাবে গণ্য হবে।  ____(বুখারী-৬৩০৬, তিরমিযী-৩৩৯৩, মিশকাত-২৩৩৫)  ▪️উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ'বদুকা ওয়া আনা আ'লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ'উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি'মাতিকা আ'লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগ্ফির্লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা।  🔘৩. প্রতিবার ফরয সালাতের পর একবার "আয়াতুল কুরসি" পড়া। নিয়মিত আমল করলে আমলক...
 যখন আমি বুড়ো হয়ে যাবো, একেবারে থুত্থুরে বুড়ো, তখন আমার পাশে একটু থাকবি ? একটু ধৈর্য ধরে রাখবি আমার ওপরে? ধর, যদি তোর দামী কাচের বাসনটা আমার হাত থেকে পড়ে যায় হঠাৎ? কিংবা, তরকারির বাটিটা উল্টে ফেলি টেবিলের উপরে?  আমি যে তখন অত ভালো দেখতে পাবো না রে! আমাকে তুই চিৎকার করে বকিস নারে ! বুড়োরা যে সারাক্ষণ নিজেদেরই করুণা করতে থাকে, তুই জানিস না! আমি একদিন আর কানে শুনতে পাবো না।  একবারে বুঝে ফেলবো না তুই কী বলছিস, তাই বলে আমাকে ‘বধির’ ডাকিস না! লাগলে না হয় আরেকটাবার কষ্ট করে কথাটা বলিস, না হয় লিখেই দিলি কাগজে কলমে। আমাকে ক্ষমা করিস রে, আমি বুড়িয়ে যাচ্ছি! আর যখন আমার হাঁটু কাঁপবে, পা দুটো শরীরের ভার আর বইতে চাইবে না, তুই একটু ধৈর্য ধরে আমাকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করবি না, বল? যেমন করে প্রথম হাঁটতে শিখেছিলি আমার পায়ের পাতার উপরে দাঁড়িয়ে, তেমনি করে? কখনো কখনো আমি ভাঙা রেকর্ড প্লেয়ারের মত বকবক করেই যাবো, তুই একটু শুনিস কষ্ট করে। আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করিস না প্লিজ, আমার বকবকানিতে অধৈর্য হয়ে যাস না রে।  তোর মনে আছে, ছোট্টবেলায় তুই একটা বেলুনের জন্য কেমন ঘ্যানঘ্যান ক...
ছবি
 মক্কায় এক সুন্দরী নারী তার স্বামীর সঙ্গে বাস করত। একদিন সে আয়নায় নিজের চেহারা দেখে স্বামীকে জিজ্ঞেস করল, আপনার চেনাজানা এমন কেউ কি আছে, যে আমার রূপ দেখে প্রেমে পড়বে না? স্বামী বলল, হ্যাঁ, উবাইদ ইবনু উমাইর নামে একজন আছে। স্ত্রী বলল, আপনি অনুমতি দিলে আমি তাকে একটু বাজিয়ে দেখতে চাই। স্বামী অনুমতি দিল। এরপর সে ফতোয়া জিজ্ঞাসার ভান করে মাসজিদে হারামের একপাশে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করল। একপর্যায়ে সে তার চেহারা থেকে কাপড় সরিয়ে নিলে এক টুকরো চাঁদ যেন আশপাশে দ্যুতি ছড়াল।  উবাইদ বললেন, হে আল্লাহর বান্দী, পর্দাবৃত্ত হও! সে বলল, আমি আপনার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছি। জবাবে তিনি বললেন, তোমাকে আমার কিছু জিজ্ঞাসা করার আছে। ঠিকঠাক জবাব দিতে পারলে তোমার বিষয়টি ভেবে দেখা যাবে৷ সে বলল, আপনি যা-খুশি জিজ্ঞেস করতে পারেন, আমি সত্য বৈ মিথ্যা বলব না। এবার তিনি তাকে লাগাতার কয়েকটি প্রশ্ন করলেন— ১. আচ্ছা, ধরে নাও—মালাকুল মউত এসেছে তোমার জান কবজ করতে। এমতাবস্থায় কি তোমার সে চাওয়া পূরণ করতে তোমার ভালো লাগবে? সে বলল, আল্লাহর কসম—তা তো হতে পারে না। তিনি বললেন, তুমি সত্যি বলেছ৷ ২. ধরো তুমি কবরে আছ, সুওয়াল-জওয়াবের জন্য...
ছবি
 
 এ কথা সত্য যে, এমন অনেক জিন ও মানুষ আছে যাদেরকে আমি জাহান্নামের জন্যই সৃষ্টি করেছি। কারণ তাদের হৃদয় ও আত্মা আছে, যা দিয়ে তারা আল্লাহর নিদর্শন সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করে না। তাদের চোখ আছে, কিন্তু তারা দেখে না। তাদের কান আছে, কিন্তু তারা শোনে না। তারা পশুর মতো বরং তার চেয়েও নিকৃষ্ট। এরাই ওইসব লোক, যারা অজ্ঞতার মধ্যে পড়ে আছে  (আরাফ : ১৭৯)

উবাদাহ ইবনুুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যাক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করেনি, তার সালাত হয়নি। তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ৭৫৬, মুসলিম ৩৯১-৩, সুনানে ইবনে মাজাহ হা/ ৮৩৭,তিরমিযী ২৪৭, নাসায়ী ৯১০-১১, ৯২০; আবূ দাঊদ ৮২২-২৪, আহমাদ ২২১৬৯, ২২১৮৬, ২২২৩৭, ২২২৪০; দারিমী ১২৪২।

"রাসূল (সাঃ) বলেছেন" :- খুব কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও যে বারবার কোরআন পাঠ করে, সে দ্বিগুন পুরস্কার পাবে.💖 ~[সহীহ বুখারীঃ ৪৯৩৭।

ছবি
 

🛑আখেরি পেপসি🛑 “একটু থামুন, ভাইজান?” পরিচিত কষ্ঠের এই ছোট বাক্যটি শুনতেই আমার কোমল ও শীতল পানীয়ের দিকে বাড়ানাে হাতটি থেমে গেল। এটা ছিল লাহােরের আনারকলি বাজার। পেছন ফিরে দেখি, আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ইরফান সিদ্দীক দাঁড়িয়ে হাসছে। - আরে! এটা কোন ধরনের আচাৱণ! সালাম নেই, কালাম নেই, মুসাফাহ নেই। এই তীব্র গরমে খুবই তেষ্টা পেয়েছে। আর এজন্যই শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়া গলাটাকে একটু ভেজানাের জন্য যেই এই ঠাণ্ডা বােতলটা হাতে নিলাম তুমি কি না থামুন থামুন বলে থামিয়ে দিলে! ইরফান জীবনেও দেখেনি এমন ভাব করে আমার দিকে তাকিয়ে বলল- - কী ব্যাপার? তুমি কি কিছুই জান না? - কোন ব্যাপারে? আমি কপালের ঘাম মুছতে মুছতে বললাম- আরে! কোন ব্যাপারে ? কিছু তাে জানব? - আরে! তােমার হাতের বােতলের ব্যাপারে, মানে পেপসি কোলার বােতলে ব্যাপারে কিছুই জান না? আমি বােতলটি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ভালাে করে দেখে বললাম - কই? না তাে! এ ব্যাপারে তাে কিছুই জানি না! কেন? কী হয়েছে? - ও, জান না কিছুই! শােনাে তবে। সে কথা বলছিল। মাঝখানে তাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম, “থামাে। আমার পেটে আগুন লেগে আছে। আগে আমাকে এটা পান করতে দাও। এরপরে ঠাণ্ডা মাথায় তােমার সব শুনব।” ইরফান যেন বিদ্যুতের শক খেল। সে বলল, "না, না। এটা খেয়ে না।" এরপর নিজেই পাশে থাকা কুলার থেকে নিজ হাতে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি ভরে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, "তুমি এটা পান করাে।" এরপর আমার হাত থেকে নিয়ে বােতলটা এক পাশে রেখে দিলাে। পানি পান করার পর আমি বললাম, "এবার বলাে, তুমি জান আর আমি কী জানি না। তােমার কাছ থেকে তাহলে কিছু জানতে পারব।" সে বলল, “নাক্কাশ ভাই! পেপসি কোলায় শূকরের চর্বি দেওয়া হয়। হ্যা, এই এইটাতে যা তুমি তাে প্রায় ঘটঘট করে খেয়েই ফেলেছিলে।” আমি তাে হতবাক। বললাম, “না, এমনটা হতেই পারে না। তােমার হুশ-জ্ঞান ঠিক আছে তাে? তবে আমি এতটুকু জানি, তার মধ্যে অ্যালকোহল আছে।" ও তখন পাল্টা আমাকে কিছুই বলল না; বরং ব্যাগ থেকে একটি বই বের করে কয়েক পৃষ্ঠা উল্টিয়ে এক জায়গায় আমাকে একেবারে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে বলল, “আমি আগেই জানতাম, তুমি এটা মানবে না। নাও, তবে এটা নিজেই পড়ে দেখো।" বইটি ছিল একটি বিখ্যাত আরবি-ইংরেজি অভিধানের ১৯৮৯ সনের সংস্করণ। তার ৬৭২ পৃষ্ঠা আমার সামনে খােলা ছিল যার নিম্নবর্ণিত কথাটি যে কোনাে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মুসলমানকে একটা বড় ধরনের ধাক্কা খাইয়ে দেবে। কথাটি হলাে- Pepsin -البيبسين خميىرة الهضم في المعدة (تحول البروتبن الي ببتون) مستحضر محتو علي ببسين مستخرج من معدة الخنزير خصوصا ويستعمل لتسهيل الهضم (المورد دار العلوم الملايين) "পেপসিন এমন এক পদার্থ যা বিশেষত শূকরের পেট থেকে সংগৃহীত হয়। এটা দ্রুত হজমের জন্য ব্যবহৃত হয়।” ইরফান এতক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। বলল, “কী? বুঝলে কিছু? এজন্যই আমি তােমাকে এই ইহুদিদের দেওয়া কোমল পানীয় পান করতে বারণ করেছিলাম। তুমি হয়ত লক্ষ্য করে থাকবে যে, তুমি পেট ভরে গােশত, বিরিয়ানী বা অন্য কিছু কিছু যা-ই খাও উপর থেকে সেগুলাের সঙ্গে যদি একটা পেপসিও মেরে দাও দেখা যায়, সব হজম হয়ে গেছে। আরাে দেখা যায়, একটি উদর শূন্য করা ঢেকুর বেরিয়ে আসছে। ব্যস, এটাই হলাে সেই পেপসিন (Pepsin) এর কারিশমা, যা শূকরের পেট থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে এবং এই পানীয়ে অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হিসাবে মেশানাে হয়ে থাকে। আর এই নাপাক পদার্থ পেপসিনের নামানুসারেই ঐ পণ্যটির নাম রাখা হয়েছে পেপসি (Pepsi)।" “শূকরের গেটের ঝিল্লি থেকে সংগৃহীত এ পদার্থটি একটি অসাধারণ হজমকারক পদার্থ। আমাদের দেশে যে সমস্ত মুরগি পাওয়া যায় তার খাদ্যথলির ঝিল্লি যাকে আমরা ঝোলা বলে ফেলে দিয়ে থাকি তার মধ্যেও এরকম হজমকারক বিদ্যমান। এই ঝিল্লি ধুয়ে শুকিয়ে গুড়া করে প্রয়ােজনের সময় এক-দু চামচ করে খেলেও এর হজমক্ষমতার হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়া যাবে। এটাকে হাকীমদের ভাষায় 'সংদানা মােরগ' বলা হয়। বানিয়াতি দোকানেও এটা পাওয়া যায়। হাকীম ও কবিরাজগণ সংদানা পাউডারকে ঔষধেও ব্যবহার করে থাকেন। হজমের জন্য হামদর্দেও সুফুফ-মাজুন সংসানা মােরগ নামে একটি ঔষধ রয়েছে, যা মুরগির সেই ঝিল্লি থেকেই প্রস্তুত। এর চাইতেও হাজার গুণ বেশি হজমক্ষমতা রয়েছে সেই পেপসিনের মধ্যে যা পেপসির প্রধান উপাদান। আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে সারা পৃথিবীতে ড্রামে করে সরবরাহ করা হয় এই তরল পেপসিন। এরই সঙ্গে আনুষঙ্গিক উপাদানগুলাে মিলিয়ে স্থানীয় ফ্যাক্টরীগুলােতে বােতলে করে বাজারে আসে পেপসি কোলাসহ অন্যান্য কোমল পানীয়। মােটকথা আমরা যে দেশে বসে যে নামেই এগুলাে খাই না কেন, আসল উপাদান এবং ফর্মুলাটা আসে সেখান থেকেই। এই ফর্মুলাই শেষ নয়, বরং সকল দেশে নিয়ােজিত তাদের কর্মকর্তাগণও তাদের দেওয়া সেই ফর্মুলা রক্ষা করা হচ্ছে কি না তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। অর্থাৎ ফর্মুলা অনুপাতে এক ড্রাম দিয়ে যত বােতল বানানাে যায় তত বােতলের বেশি যেন কোনােভাবেই বানানাে না হয় সে বিষয়টির প্রতি তারা খুব গুরুত্ব সহকারে খেয়াল রাখে। "প্রিয় মুসলিম ভাই। আপনি অবশ্যই জেনে থাকবেন, শূকর একটি বেহায়া খবিস প্রাণী। কুরআনে কারীমে এর আলােচনা এসেছে ঘূণাভরে এবং সেখানে একে হারাম সাব্যস্ত হয়েছে। শূকরের ঝিল্লি থেকে সংগৃহীত পদার্থ মিশ্রিত খাদ্য ও পানীয়ের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে মুসলিম উম্মাহ থেকে হায়া ও লজ্জা সব বিদায় হয়ে যাচ্ছে। দ্বীন ও জি হা দ থেকে পশ্চাৎপদতাও এই শূকরমিশ্রিত খাদ্য ও পানীয়ের ফলেই। মানবজাতির মারাত্মক সব ব্যাধি, তাদের মগজে-মননে মন্দ ও নােংরা চিন্তা-ফিকির, ভীরুতা ও কাপুরুষতা, মুসলমানদের মধ্যে পশ্চিমা সভ্যতার প্রতি আসক্তি, হালাল-হারামের বাছ-বিচারের অভাব, পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববােধ ও মিল-মহব্বতের অনুপস্থিতি খাদ্য ও পানীয়ের মধ্যে শূকরের উপস্থিতি অনিবার্য পরিণতি। আফগান, ফিলিস্তীন, কাশ্মীর, আরাকান ও বার্মার দিকে চেয়ে দেখুন, ইহুদি-খ্রিস্টান আর হিন্দ- বৌদ্ধরা নিরীহ মুসলমানদের কত নির্মমভাবে মেরে মেরে তাদের হিংস্রতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। তবুও আমাদের খাওয়া, পরা ও নিত্য বিনােদনে ন্যূনতম পরিবর্তনও আসছে না, এমনকি আমার এতটাই অনুভূতিশূন্য হয়ে পড়েছি যে, এই মজলুম মুসলমানের পক্ষে মুসলমান হয়ে জিহাদে যাব তো দূরের কথা, একটি চিৎকার ও তুলতে পারি না। বলুন তাে, মহল্লার কোনাে দোকানদারের সঙ্গে কোনাে লেনদেনের ব্যাপারে যদি কোনাে ঝগড়া হয় তাহলে আমরা কী করি? সেখান থেকে কেনা বন্ধ করে দেই না? কিন্তু সারা বিশ্বে ইহুদি ব্যাপারীরা আমাদের উপর যে তাণ্ডব চালাচ্ছে তার মােকাবেলায় আমরা কী করছি? এটা এখন এক বিরাট প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন? আমাদের কী কিছুই করার নেই?" ইহুদি-খ্রিস্টানদের এসব পণ্যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কোনাে পদার্থ যদি নাও থাকত তারপরেও আমাদের এতটুকু করণীয় ছিল যে, এগুলাের ক্রয়-বিক্রয় আমরা বন্ধ করে দেব। কেননা এই জালেমদের পণ্যসমূহ ক্রয় করে প্রকারান্তরে তাদের অর্থনৈতিক শক্তিকেই আমরা বলিষ্ঠ করে দিচ্ছি। আর এসব থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই তারা গােলাবারুদ, ট্যাংক, তােপ, জাহাজ, রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার, মিজাইল ইত্যাদি তৈরি করে মুসলমানদের বুক ও ভূখণ্ডে আঘাত হেনে চলেছে। তাদের এই জুলুম গােটা বিশ্বব্যাপী।" মুসলিম বিশ্ব এই বাজে জিনিসটাতে এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছে যে, পেপসি কোলার পাশাপাশি সৌদি আরব এখন ইরানে প্রস্তুত যমযম কোলাও (!) আমদানি করছে। কে জানে, সেই যমযম কোলায় শূকরের রক্ত নেই?” “যাই হােক, আমরা এ জাতীয় পানীয় পেপসি, ম্যারেন্ডা, ফান্টা, সেভেন আপ, কোকাকোলাসহ ইহুদিদের যাবতীয় পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে তাদের অর্থনৈতিক শক্তিকে বলিষ্ঠ থেকে বলিষ্ঠতর করার মাধ্যমে আমরা যেন নিজ হাতেই বাইতুল মাকদিস, ফিলিস্তীন, বসনিয়া, চেচনিয়া, কাশ্মীর, সােমালিয়া, আসাম ও বার্মার মুসলমানদেরকে রক্ষার পরিবর্তে হত্যার জন্য তাদের হাতেই তুলে দিচ্ছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, 'মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে নিজে যেমন কোনাে মুসলমানের উপর জুলুম করে না তেমনি কারাে জুলুমের শিকারে পরিণত করার জন্য কোনাে মুসলমানকে তার হাতে তুলেও দেয় না।' (বুখারী) অথচ আমরা মুসলমান হয়ে সারা পৃথিবীতে মুসলমানকেই তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। আমরা তাদের এত বেশি পণ্যের গ্রাহক যে, তা রীতিমতাে বিস্ময়ের ব্যাপার। এ বিষয়টি এভাবেও অনুমান করা যেতে পারে যে, শুধু কোকাকোলা আর পেপসি কোলা থেকেই কোম্পানি ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বার্ষিক দশবিলিয়ন ডলার প্রদান করে থাকে। এবার তােমার হাতেই আমি ফায়সালার ভার দিয়ে দিলাম। এক দিকে আল্লাহর নাম নেওয়া, রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কালিমা পড়া মজলুম, নির্যাতিত, নিপীড়িত ও অসহায় মুসলমান, অপর দিকে জুলুমবাজ, হঠকারী ও গাদ্দার ইহুদি-নাসারা। বলাে, তুমি কাকে সাহায্য করবে? কাকে শক্তিশালী করবে? কাকে তুমি সঙ্গ দেবে?” এতক্ষণ পর্যন্ত আমি ইরফানের ঈমানদীপ্ত কথাগুলাে খুব মনােযােগ দিয়ে শুনছিলাম। একেকটা কথা আমার বিবেকের মাথায় যেন হাতুড়ি পিটাচ্ছিল। তবুও বােতলটি হাতে নিয়ে দোকানিকে মূল্য পরিশােধ করে দিয়ে চিন্তায় ডুবে গেলাম। আসলে ইরফানের ঈমানদীপ্ত, যাদুময় কথায় এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। এরপর আমি ইরফানের দিকে ফিরে বললাম, "ভাই! আমি যে তােমার সবগুলাে কথা বুঝেছি, শুধু তাই নয়, বরং এগুলাে আমার হৃদয়ের গভীরে প্রােথিত থাকবে। এখন থেকে আমার সিদ্ধান্ত, ভবিষ্যতে কোনাে দিন ইহুদিদের কোনাে খাদ্য বা পানীয় কোনাে কিছুই আমি আর ক্রয় করব না। ব্যস, এই পেপসির বোতলই আমার জীবনের সর্বশেষ পেপসি। এরপর থেকে ভুলেও কোনাে দিন আমি এতে হাত দেব না। বরং অন্যদেরকে না করব। এবার আমার কথা থামিয়ে দিয়ে ইরফান ভাই বললেন, “শােনাে, যখন মদ হারাম হওয়ার বিধান নাযিল হলাে তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পক্ষ থেকে একজন ঘােষক গিয়ে গলিতে গলিতে উচ্চ কণ্ঠে ঘোষণা দিতে লাগল যে, আজ থেকে আল্লাহ তায়ালা মদকে হারাম করে দিয়েছেন। এই ঘােষণা শােনার পর কেউ এ কথা বলেননি যে, এই গ্লাস, এই বােতল কিংবা এই ঢােক আমার জীবনের শেষ গ্লাস, বােতল বা ঢোক; বরং ঘােষণা শােনার সাথে সাথেই তাঁরা মদের সমস্ত মটকা এমনভাবে ভেঙ্গে দিলেন যে, বাজারে মদ বন্যার মতাে প্রবাহিত হচ্ছিল। তাে আমি বলি, যদি তুমি আমল করতে চাও এভাবেই আমল কর এবং তা এখন থেকেই।" আমি বােতলটি রেখে দিলাম। এবার আমার মনে হচ্ছিল যেন ক্রেটে পড়ে থাকা বােতলটি তার নিজ ভাষায় বলছে- হে মুসলিম উম্মাহ! তােমাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে যে, সাহাবায়ে কেরামের এই কর্মপদ্ধতিকে গ্রহণ করবে? দোকানদারকে হতভম্ব করে দিয়ে আমি চিন্তার জগতে হাবুডুবু খেতে খেতে ভাবলাম, হায়রে মুসলমান! আজকে মুসলিম সমাজের প্রত্যেকটি ব্যক্তি যদি ইরফান ভাইয়ের মতাে ভাবতে পারত তবে চিন্তা-চেতনা, অর্থনীতি-রাজনীতি সর্বত্রই তারা মুক্ত ও স্বাধীন থাকতে পারত। সেই সাথে তাদের জীবনে আসত শান্তি ও সমৃদ্ধি। এমতাবস্থায় মুসলমান যদি পৃথিবীর যে কোনাে প্রান্ত থেকে তলােয়ার বের করে জি হা দে র হুংকার ছাড়ত তবে পৃথিবীর এমন কোনাে শক্তি নেই যা সেই হুংকারের সামনে দাঁড়াতে পারত। ✅collected (মাওলানা মুহাম্মাদ তাহের নাক্কাশ রচিত ‘কলমের অশ্রু’ ব‌ই থেকে নেওয়া)

প্রশ্ন: ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে মহিলাদের মাথার চুলের গোড়া ভিজানো জরুরি কি? নাকি শুধু চুলের আগা ভেজালেই যথেষ্ট হবে? ●●●●●●●●●●●● উত্তর: ফরজ গোসলের সময় মহিলাদের মাথার বেনী খোলা আবশ্যক নয় রবং চুলেরে গোড়ায় পানি পৌঁছানোই যথেষ্ট। দেখুন নিম্নোক্ত হাদীসদ্বয়: 🔹 উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক মুসলিম মহিলা-যুহাইরের বর্ণনা মতে, উম্মু সালামাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ হে আল্লাহর রসূল! আমি আমার মাথার চুল মজবুতভাবে বেঁধে রাখি (বা আমার মাথার চুল খুব ঘন), অতএব জানাবাত এর গোসলের সময় আমি চুলের বাঁধন খুলে ফেলব কি? তিনি বললেন, لا إنما يكفيكِ أن تَحثي على رأسكِ ثلاثَ حَثَياتٍ . ثم تُفيضينَ عليك الماءَ فتطهُرينَ “তুমি তোমার মাথায় তিন অঞ্জলি পানি ঢেলে দিলেই যথেষ্ট হবে। তারপর সমগ্র শরীরে পানি ঢেলে দিবে; এতেই তুমি পবিত্র হবে।” (সহীহ মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয), তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ গোসলের সময় মহিলারা চুলের বাঁধন খুলবে কি না, হাঃ ১০৫) 🔹 শুরায়হ্ ইবনু ‘উবায়িদ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, জুবাইর ইবনু নুফায়ির আমাদেরকে জানাবাতের গোসল সম্পর্কে ফাতাওয়াহ দেন যে, সাওবান (রাঃ) তাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেনঃ একদা তাঁরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ সম্পর্কে ফাতাওয়াহ চাইলে তিনি বলেনঃ أَمَّا الرَّجُلُ فَلْيَنْشُرْ رَأْسَهُ فَلْيَغْسِلْهُ حَتَّى يَبْلُغَ أُصُولَ الشَّعْرِ وَأَمَّا الْمَرْأَةُ فَلَا عَلَيْهَا أَنْ لَا تَنْقُضَهُ لِتَغْرِفْ عَلَى رَأْسِهَا ثَلَاثَ غَرَفَاتٍ بِكَفَّيْهَا “পুরুষ লোক তার মাথার চুল এমনভাবে ছেড়ে ধুয়ে নিবে, যাতে পানি চুলের গোড়ায় পৌঁছে যায়। তবে মহিলাদের মাথার চুল না খুললেও চলবে। তারা উভয় হাতে তিন অঞ্জলি পানি নিয়ে মাথায় ঢেলে দিবে।” (গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত), অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা অর্জন ( كتاب الطهارة ), হাদিস নম্বরঃ ২৫৫) হাদীস থেকে শিক্ষাঃ ১। জানাবাতের গোসলে চুল ছেড়ে দেয়া মহিলাদের জন্য ‌আবশ্যক নয়। বরং মাথায় তিন অঞ্জলী পানি ঢালাই যথেষ্ট। ২। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণ জানাবাতের গোসলের সময় তাঁদের চুলের বেণী বা খোপা খুলতেন না। আল্লাহু আলাম। ●●●●●●●●●●●● উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল FB/AbdullaahilHadi লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরব দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব

ছবি
 

হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তাঁর পরিবারের কোন ব্যক্তি মারা গেলে মহিলারা এসে জড় হলো। তারপর তাঁর আত্মীয়রা ও বিশেষ ঘনিষ্ঠ মহিলারা ব্যতীত বাকী সবাই চলে গেলে, তিনি ডেগে ‘তালবীনা’*১ (আটা, মধু ইত্যাদি দিয়ে তৈরী খাবার) পাক করতে বললেন। তা পাকানো হলো। এরপর ‘সারীদ’ (গোশতের মধ্যে রুটির টুকরো দিয়ে তৈরী খাবার) প্রস্তুত করা হলো এবং তাতে তালবীনা ঢালা হলো। তিনি বললেনঃ তোমরা এ থেকে খাও। কারণ, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, ‘তালবীনা’ রুগ্ন ব্যক্তির হৃদয়ে প্রশান্তি আনে এবং শোক দুঃখ কিছুটা দূর করে* [মুসলিম ৩৯/৩০, হাঃ ২২১৬, আহমাদ ২৫২৭৪] *ফুটনোটঃ আধুনিক গবেষণা এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস অনুযায়ী যবের উপকারীতাসমূহ অপরিসীম। পাকস্থলী এবং অস্ত্রতে আলসারের রুগীদেরকে সকালের নাস্তায় নবীর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যামানায় উন্নত মানের ব্যবস্থা পত্র স্বরূপ তালবীনা প্রদান করা হত (*যব পিষিয়ে, দুধে পাকিয়ে তাতে মধু মিশ্রিত করলে তাকে তালবীনা বলা হয়) এতে আলসারের প্রতিটি রুগী ২/৩ মাসের মধ্যে আরোগ্য লাভ করত। 🕳️ প্রসাবের সাথে রক্ত ও পূঁজ পড়া রুগীদের, তা যে কারণেই হোক না কেন, উপযুক্ত চিকিৎসার সাথে যবের পানি যদি মধুর সাথে মিশ্রণ করে পান করানো যায় তাহলে এ রোগ পনের দিনের মধ্যে নিঃশেষ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আবার কখনো এ পদ্ধতি পেটের পাথর বের করার জন্যও খুব কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। পুরাতন আমাশয় ও কোষ্ঠকাঠিন্যর জন্য যবের আটা ঔষধ হিসেবে প্রচীন আরবে বহুল চর্চিত ছিল। সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৪১৭।(হাদীসের ফ্রুটনোট) Copy :Abdul Hi Muhammad Saifullah

ছবি
 

কখনো ধৈর্য হারাবে না

ছবি
 

আল্লাহ আকবর। জান্নাতে জান্নাতিদের কত সুখ।। এই ওয়াজটি মনের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। মিজানুর রহমান আজহারী।